• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

গৃহর্কমীকে নির্যাতন,পুলিশের স্ত্রী হাজতে


নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০৩:২৯ পিএম
গৃহর্কমীকে নির্যাতন,পুলিশের স্ত্রী হাজতে

নাটোরে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ঢাকায় (সিআইডি) পুলিশে কর্মরত উপ-পরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী সুমি বেগমকে আটকের পর জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক এএফএম গোলজার রহমান তাকে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলার পাইকোরদল গ্রাম থেকে সুমি বেগমকে আটক করে পুলিশ।

নির্যাতিত গৃহকর্মীর শ্যামলী (১৩) নাটোর সদর উপজেলার পাইকোরদল গ্রামের মঞ্জুল হোসেনের মেয়ে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে অভিযুক্ত সুমি বেগম বাবা মাকে দেখাতে গৃহকর্মী শ্যামলীকে সঙ্গে নিয়ে পাইকোরদোল গ্রামে যায়। এ সময় শ্যামলীর শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে আত্বীয় স্বজন জিজ্ঞাসা করলে শিশু গৃহকর্মী তিন বছর ধরে চলা নির্যাতনের কথা খুলে বলে। এ সময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি বেগমকে আটক করে। ওইদিন রাতেই ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর মা নার্গিস বেগম নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।

গৃহকর্মীর মা নার্গিস বেগম জানান, অভাবের কারণে আমরা মেয়ে শ্যামলী তিন বছর আগে ঢাকায় সিআইডি পুলিশে কর্মরত উপ-পরিদর্শক খন্দকার আতিকুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমাদের আর দেখা হয়নি। শুরুতে ৮ মাস নিয়মিত বেতন পাঠিয়ে দিলেই পরে আর বেতন দেননি। কাজে যোগ দেওয়ার এক মাস পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে গৃহকর্মী শ্যামলীকে বকাঝকা ও নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে তার শরীরে গরম ইস্ত্রি দিয়ে ছ্যাঁকা এবং প্লাস দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়া তুলে ফেলে। তার মাথা ও হাত-পায়ের আঙ্গুলসহ পুরো শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রয়েছে।

ভুক্তভোগী গৃহকর্মী শ্যামলী জানায়, কাজে একটু ভুল করলেই আমাকে অনেক মারধর করা হত। জোরে কান্না করলে আরও বেশি মারাত।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারেক জুবায়ের জানান, নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত সুমি বেগমকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর মা থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 

Link copied!