ভোটে কারচুপির মাধ্যমে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, এমন দাবি করেছেন মোংলার চিলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সদস্য পদে অংশ নেওয়া পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মালেক ফরাজী।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মোংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আব্দুল মালেক ফরাজী ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সদস্য পদে ফুটবল প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন।
সংবাদ সম্মেলনে কেঁদে কেঁদে আব্দুল মালেক ফরাজী দাবি করেন, নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকে ৫৭৬ ভোট পান তিনি। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফজলুর রহমান মল্লিক পান ২৭৮ ভোট। কিন্তু তার এজেন্ট মোশারেফ হাওলাদারকে আটকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বাড়ৈ প্রাপ্ত ভোটের ফলাফল ঘুরিয়ে মোরগ প্রতীকের ফজলুর রহমান মল্লিককে রেজাল্টশিটে প্রাপ্ত ভোটে কাটাকাটি করে বিজয় ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও কমলেশ মজুমদার বলেন, “যেখানে রেজাল্টশিটে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর রয়েছে আর কিছু করার নেই। তারপরও প্রার্থী মালেক ফরাজীকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।”
ওই কেন্দ্রের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ পেয়েছি, তবে আবার ভোট গণনার এখতিয়ার আমার নাই, রেজাল্টশিটে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে কাটাকাটির দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বাড়ৈ বলেন, “এখানে আমার কোনো দায় নেই। ফলাফল সঠিক আছে।”