পরীমনিকে গাজীপুরের কাশিরপুরের মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাকে কারাগারে ঢোকানো হয়।
পরীমনিকে দেখার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কারাফটকের সামনে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তারা একনজর এই চিত্রনায়িকাকে দেখার জন্য মোবাইল ফোন নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন দুপুরের পর থেকেই।
আজ (১৩ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
এর আগে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান আদালতে জামিন আবেদন করেন। জামিনের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরীমনির জামিনের বিরোধিতা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “পরীমনিকে জামিন দেওয়া যাবে না। কারণ, তার বাড়িতে আইস, এলএসডিসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে। জামিন দিলে পরীমনি দেশত্যাগ বা পালাতে পারেন।”
আদালত সূত্রে জানা যায়, দুই দিনের রিমান্ড শেষে পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুকে আজ বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
পরে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
পরীর আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষ পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড এবং গত ৫ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ পরীমনি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।




































