• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০, ২১ রমজান ১৪৪৬

ইউপি নির্বাচন: নৌকার প্রার্থীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম
ইউপি নির্বাচন: নৌকার প্রার্থীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাতক্ষীরা জেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বৈকারী ইউনিয়নের (ইউপি) স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু মো. মোস্তফা কামালের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, মারপিট, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) বৈকারী ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের আবু মো. মোস্তফা কামালের ভাই আফতাবুজ্জামান বাদী হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান, তার দুই ছেলেসহ ৩০ জন ও অজ্ঞাতনামা ২২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। সদর থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন বাদীপক্ষ।

মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. হুমায়ুন কবীর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৭ অক্টোবর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান নৌকা প্রতীক ও জেলা তরুণ লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো. মোস্তফা কামাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক পান। সদর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতীক পাওয়ার পর মোস্তফা কামাল র‌্যালি নিয়ে বৈকারীতে ফেরার সময় বিকেল ৫টার দিকে কেয়ারপাড়া বটতলা নামকস্থানে নৌকা প্রার্থী আসাদুজ্জামান ও তার ছেলে ইনজামুল হক ইমজা ও জহির রহমানের নেতৃত্বে ৫২ জন হাতে লোহার রড জিআই পাইপ, চায়নিজ কুড়াল দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় আবু মো. মোস্তফা কামাল, আব্দুর রহমানসহ ১০-১২ জন জখম হন। ভাঙচুর করা হয় ২০টি মোটরসাইকেল। কেড়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা ও মোবাইল। আহত কর্মী-সমর্থকদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই আফতাবুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, আদালত সদর থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৈকারী ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান আমাদের ওপর হামলা করেছেন। দ্বিতীয় দফাতেও আমরা হামলার শিকার হয়েছি। অথচ সদর থানায় আমাদের মামলা নেয়নি পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে গিয়েছি। 

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, “এই ঘটনাকে পুঁজি করে আসাদুজ্জামান সাতক্ষীরা থানায় আমাকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর ফলে পুলিশ রাতদিন আমাকে খুঁজছে। গভীর রাতে পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। গ্রামের ও শহরের দুই বাড়িতেই পুলিশ হানা দিয়েছে। আমি খুলনায় ডিআইজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমার নিরাপত্তা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছি।”

তবে নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি বর্তমান পিরিয়ডে চেয়ারম্যান আছি। আমিও চাই নিরপেক্ষ নির্বাচন। জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে না হয় তাকে বেছে নেবে।”

Link copied!