মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ডুবে যাওয়া ফেরি আমানত শাহকে উদ্ধারে বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রাম থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি উদ্ধারের জন্য ৫০ সদস্যের ডুবুরি দল আসে।
জেনুইন এন্টারপ্রাইজ প্রাইজ লিমিটেডের ডুবুরি দলের প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়ে ভোরে ঘাটে এসেছি। আমাদের আরও সদস্য পথে রয়েছে। পথে যানজটে আটকে আছে তিন ইঞ্চি ওয়ার মালামাল বোঝাই ট্রাক। আমাদের আরও সদস্যসহ তিন ইঞ্চি ওয়ার ঘাটে আসামাত্র আমাদের প্রাথমিক সার্ভে কাজ শুরু হবে।”
আব্দুর রহমান আরও বলেন, “নদীপথে আমাদের নিজস্ব ৬টি উইন্স ভার্জে ৬টি পল্টনসহ আসছে ৬ ইঞ্চি ওয়ার। প্রতিটি পল্টন ওয়েট টানবে চারশ টন। ফেরি উদ্ধারের মূল কাজ শুরু হবে চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে ৬টি উইন্স ভার্জের আসা ৬টি পল্টন ভর্তি সরঞ্জাম আসার পর। নদীর তলদেশ থেকে অক্ষত অবস্থায় ফেরিটি তুলতে আমাদের ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।”
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষেও (বিআডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান বলেন, “জেনুইন এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে আমাদের মৌখিক চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ এই কাজের জন্য় আমাদের কাছে দুই কোটি টাকা চেয়েছে।”
এর আগে বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী যানবাহন ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আমানত শাহ ফেরি ছেড়ে আসে। মাঝপথে আসার পরই ফেরির পেছনের বাঁ দিক থেকে পানি উঠতে থাকে। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পন্টুনে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধারে কাজ শুরু করে ‘হামজা’। এতে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা অংশ নেন।
ঘটনার চতুর্থ দিনে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে রুস্তম নামের বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী আরেকটি জাহাজ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।