পঞ্চগড় জেলা আদালত চত্বরে হাজিরা দিতে আসা এক আসামিকে মারধরের ঘটনায় চারজনকে আটক করছে পুলিশ।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভীমপুকুর এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৫৫), তাঁর মেয়ে সাদিয়া আকতার (২৪), বড় ভাই মো. নৈমুদ্দিন (৬০) ও নবিউল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর রংপুর উপশহরের সাগাড়া এলাকার নাসিম উদ্দিনের ছেলে শোয়েব সিনার সঙ্গে ভীমপুকুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আকতারে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাদিয়া আকতার চলতি বছরের ২৪ মার্চ পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী শোয়েব সিনাসহ সাতজনের নামে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি বোদা থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। পরে ৪ এপ্রিল বোদা থানা পুলিশ মামলটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে গত ৩০ আগস্ট আসামিদের অব্যাহতি প্রদানের জন্য ১৭৩ ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে মামলার বাদী পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দাখিল করলে আদালত শুধু শোয়েব সিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। এরপর আসামি গত ১৪ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন পান।
ওই মামলায় আজ (রোববার) ধার্য তারিখ থাকায় শোয়েব সিনা পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদারের আদালতে হাজিরা দিতে আসেন।
এদিকে রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শোয়েব সিনা হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে তার আইনজীবীর সঙ্গে বের হওয়ার সময় আগে থেকে বাইরে থাকা সাদিয়া আকতারসহ তার লোকজন শোয়েব সিনাকে মারধর শুরু করেন এবং সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আদালত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শোয়েব সিনাকে উদ্ধার করে এবং সাদিয়া আক্তারসহ চারজনকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ঘটনার পর আদালত পুলিশ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এছাড়া আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।