গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় বাঁশ কাটার জেরে আব্দুল হামিদ (৪২) নামের এক অটোচালককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের স্কুল পড়ুয়া মেয়েসহ তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৪ নভম্বের) দুপুরে উপজেলার ফুলবাড়িয়া পদ্ধপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হামিদ উপজেলার ফুলবাড়িয়া পদ্ধপাড়া এলাকার রজব আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলবাড়িয়া পদ্ধপাড়া এলাকার আব্দুল হকের বাঁশঝাড় থেকে একটি বাঁশ প্রতিবেশী জহের আলীর ধান ক্ষেতের উপর হেলে পড়ে। ধান ক্ষেতের ক্ষতি হবে ভেবে জহের আলী আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বাঁশের মাথার অংশ কেটে ফেলে। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল হক ও তার স্বজন আমজাদ হোসেন, আব্দুস সামাদ, ফরহাদ হোসেনসহ ১০/১২ জন লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে জহের আলী ও তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের ওপর হামলা চালায়। জহের আলীর ভাগ্নে তাদের বাধা দিতে গেলে শাবল ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। এ সময় বাবাকে পিটানোর দৃশ্য দেখতে পেয়ে তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে হেনা আক্তার এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা।
আরো জানা গেছে, স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল হামিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হামিদ মারা যান। এছাড়া আহত জহের আলী ও তার স্ত্রী রাশেদা এবং নিহতের মেয়ে হেনা আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল বাশার জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।