• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জামালের সেই ভিডিও যাচ্ছে ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২, ০২:০৫ পিএম
জামালের সেই ভিডিও যাচ্ছে  ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনে
ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে পেনাল্টি বিতর্কের জেরে ম্যাচ শেষে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগ আনে রেফারি ও ম্যাচ কমিশনার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে তারা যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তদন্তে তার কোনো প্রমাণ পায়নি বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশনের জন্য সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা শেষে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ গণমাধ্যমে এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, “জামাল ভূঁইয়ার বিপক্ষে রেফারিকে লাথি মারার অভিযোগের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করেছে কমিটি। এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়গুলো ম্যাচ কমিশনার ও রেফারির রিপোর্টে এসেছে। তাই এটাকে বাফুফের পক্ষ থেকে ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন করা হবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টা পুনরায় ডিসিপ্লিানরি কমিটির সভায় দেওয়া হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।”

গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে লিগের ম্যাচে ৩৯ মিনিটের সময় রেফারি শেখ রাসেলের হয়ে পেনাল্টির বাঁশি দেন। শেখ রাসেল সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সেই লিডে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। 

পেনাল্টি নিয়েই ম্যাচ শেষে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক জামালসহ বাকি ফুটবলাররা রেফারিদের ঘিরে ধরলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমনকি সাইফ স্পোর্টিংয়ের কর্মকর্তারাও রেফারির দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাফুফের পক্ষ থেকে ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের উল্লেখ দিয়ে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সাইফ স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া রেফারিকে লাথি মারলে, রেফারি সরে যাওয়ায় তা সহকারী রেফারি জুনায়েদ শরীফের গায়ে লাগে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এই ফুটবলার বলেছেন, ‘লাথি মারা দূরে থাক, ম্যাচের সময় বা ম্যাচের পরে কোনো অফিশিয়ালকে স্পর্শও করেননি তিনি।’

জামাল বলেন, ‘আমি লাথি মারলে রেফারি লাল কার্ড দেখালেন না কেন?’

একই নোটিশে সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইভেন্ট ম্যানেজার সাইফ মাহবুবের বিরুদ্ধেও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাফুফের নোটিশে আরও যোগ করা হয়, ‘ওই খেলায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইভেন্ট ম্যানেজার সাইফ মাহবুব জোরপূর্বক মাঠে প্রবেশ করে সকল রেফারিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং রেফারিরা ড্রেসিংরুমে প্রবেশের সময় তিনি তাদের দিকে তেড়ে যান।’

ওই দিন রেফারিকে সাইফের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা যে নাজেহাল করেছেন, সে জন্য ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্লাবের ইভেন্ট ম্যানেজারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করেছে বাফুফে। তবে জামালের বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় তার সাইফের পক্ষে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে খেলায় বাধা নেই। 

এ ঘটনার জেরে বরখাস্ত করা হয়েছে ম্যাচ রেফারি বিটুরাজকে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ম্যাচে বাঁশি বাজানো থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছে।

Link copied!