বিশ্বকাপে নিজেদের নামের পাশে আরও একটি হার যুক্ত হলো ইংল্যান্ডের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের হার ৮ উইকেটের। এই পরাজয়ের ফলে সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা কমে গেছে বলাই যায়। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য ২ উইকেট ও ১৪৬ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় লঙ্কানরা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন লাহিড়ু কুমারা।
বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাতই হানেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। দলীয় ৪৫ রানে ডেভিড মালানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ২৫ বলে ২৮ রান করে আউট হন ইংলিশ ওপেনার। পরের উইকেট তুলতেও দারুণ অবদান ম্যাথুসের। তার থ্রোয়ে কুশাল মেন্ডিসের হাতে রানআউট হয়ে বিদায় নেন জো রুট।
রুট ১০ বলে করেন ৩ রান। এরপর উইকেটের মিছিল চলে ইংলিশ শিবিরে। জস বাটলার ৮ রানে, লিয়াম লিভিংস্টোন ১ রানে, মঈন আলি ১৫ রানে, ক্রিস ওকস শূন্য রানে ও মার্ক উড ৫ রান করে আউট হন। মঈনের উইকেটটি তুলে নেন ম্যাথুস।
ওপেনারদের বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের হয়ে হাল ধরেছিলেন বেন স্টোকস। তবে একপ্রান্তে আগলে রেখে খেলতে গিয়ে আরও চাপে পড়ে তারা। চাপের মুখে ৭৩ বলে ৪৩ রান করে আউট হন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত ১৪ রান করে টিকে ছিলেন ডেভিড উইলি। লঙ্কানদের হয়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন লাহিড়ু কুমারা।
অল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারেই কুশল পেরেরাকে ফেরান ডেভিড উইলি। এরপর তিন নম্বরে থাকা কুশল মেন্ডিসও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে। ১১ রান করা মেনিডসকে ফেরান উইলি। ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ঐখানেই শেষ। এরপর খেলাটা নিজেদের করে নেন লঙ্কান দুই ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমা ও পাতুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটার গড়েন ১৩৭ রানের। এই দুইজনই হাফ সেঞ্চুরি তোলে নিয়েছেন। নিশাঙ্কা অপরাজিত থেকেছেন ৭৭ রান করে। আর সামারাবিক্রমা ৬৫ রান করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন। ৫ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ইংল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি।