অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ হারে শঙ্কাও জেঁকে বসেছিল দলটির মনে। কিন্তু কি দারুণ কামব্যাক করে প্রোটিয়ারা। শেষ তিন ম্যাচে ব্যাট-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে দলটি। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়াকে হারায় ১২২ রানে। ঘরের মাঠে এটাই কুইন্টন ডি ককের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিবেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।
জোহান্সেবার্গে টস হেরে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা তাদের মোটেও ভালো হয়নি। দলীয় ৩ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক টিম্বা বাভুমা। ডি ককও ফিরেছেন দ্রুতই। ৩৯ বলে ২৭ রান করে নাথান এলিসের বলে ফেরেন তিনি। শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফন ডার ডুসেন। করেন ৩০ রান।
আগের ম্যাচে ১৭৪ রান করা হেনরিখ ক্লাসেন এদিন ৬ রান করে ফিরেছেন অ্যাডাম জাম্পার বলে। পঞ্চম উইকেটে ম্যাচের হাল ধরেন ডেভিড মিলার এবং অ্যাইডেন মারক্রাম। ১০৯ রানের সেই জুটি ভাঙে মারক্রামের বিদায়ে। ৮৭ বলে ৯৩ রান করে টিম ডেভিডের বলে আউট হন তিনি।
ডেভিড মিলার করেন ৬৩ রান। শেষদিকে মার্কো ইয়ানসেন এবং অ্যান্ডিলে ফেহলাকওয়াইও`র দারুণ দুই ক্যামিও ইনিংসে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে স্বাগতিকরা। ২৩ বলে ৪৭ রান করে আউট হন ইয়ানসেন। ফেহলাকওয়াইও অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ইয়ানসেনের তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। যদিও মার্নাস লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক মিচেল মার্শ প্রতিরোধ গড়েছিলেন বটে। কিন্তু তারাও শেষ পর্যন্ত শিকার হন ইয়ানসেনের।
বাঁহাতি এই পেসার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৩৯ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এছাড়া ৪ উইকেট ঝুলিতে পুরেন কেশভ মহারাজ। যার ফলে ১৯৩ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের হয়ে ৫৬ বলে ৬ চার ও ছক্কায় ৭১ রান করেন মার্শ। ৪৪ রান আসে লাবুশেনের ব্যাট থেকে।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন মার্কো ইয়ানসেন ও সিরিজ সেরা হয়েছেন অ্যাইডেন মারক্রাম।