ম্যাচ শেষে ট্রফিও তুলে দেওয়া হয়েছে। অতিথিরা মাঠও ছেড়ে গেছেন। এরপরই শুরু হলো কাড়াকাড়ি। না, এই কাড়াকাড়ি বিব্রতকর কিছুর জন্য নয়, এটা চূড়ান্ত আনন্দের। সদ্য সাফ অণূর্ধ্ব-২০ এর শিরোপা জেতা বাংলাদেশ অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে নিয়ে চলছে এই কাড়াকাড়ি।
কেউ ছবি তুলতে চাইছেন, কেউ আবার একটু কথাও বলে নিতে চাইলেন এই সুযোগে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল সাংবাদিকদের। যাদের কাছে এই শিরোপা জয়ের পর নিজের আক্ষেপ মেটানোর গল্প শুনিয়েছেন শামসুন্নাহার।
শুধু হাতে অধিনায়কত্বের ব্যান্ড পড়েননি, সামনে থেকে যোগ্য অধিনায়কের মতো দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন শামসুন্নাহার। নারীদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে তার অধিনাকয়ত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যেন একটু আবেগপ্রবনই হয়ে পড়েছিলেন শামসুন্নাহার। গলাটা ধরে আসছিল, তবে নিজেকে দ্রুত সামলে নিয়ে বললেন এই শিরোপা জিতে তার আক্ষেপ ঘুচেছে।
শামসুন্নাহার বলেন, “এর আগে দুই আসরে অধিনায়কত্ব করে ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি, এই প্রথম শিরোপা জিতলাম। আমাকে নিয়ে সবার একটা আক্ষেপ ছিল। বলত, তুমি কেন শিরোপা আনতে পারো না? তোমার হাতে ট্রফি নাই।”
এর আগে ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৫ দলে এবং গত বছর অনূর্ধ্ব-১৮ দলের দুই আসরে শামসুন্নাহারের অধিনায়কত্বে ফাইনাল খেললেও শিরোপা জিততে পারেননিম বাংলাদেশ।
পুরো আসরেই বল পায়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন শামসুন্নাহার। আসরের সর্বোচ্চ পাঁচ গোলও এসেছে তার পা থেকেই। এমনকি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও উঠেচে বাংলাদেশ অধিনায়কের হাতে। তবে সব ছাপিয়ে অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি জিততে পারাই রোমাঞ্চ দিচ্ছে তাকে।
“আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি, আশা করেছি, এবার ঘরের মাঠে খেলা, ট্রফিটা যেন ঘরেই থাকে। সবচেয়ে বড় পাওয়া অধিনায়ক হিসেবে আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, আমার টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। দলের সবাইকে ধন্যবাদ” যোগ করেন শামসুন্নাহার।
এর আগে জাতীয় দলের হয়ে গত সেপ্টেম্বরে সাফের শিরোপা জিতেছেন শামসুন্নাহার। এর এবার অধিনায়ক হিসেবে জিতলেন। তবে তিনি কিন্তু ঠিকই জাতীয় দলের শিরোপাকে এগিয়ে রেখেছেন।
শামসুন্নাহার বলেন, “এটা দ্বিতীয় সেরা, সাফ জয় এখনো প্রথম। অধিনায়ক হিসেবে এটাই সেরা। তবে যেহেতু ওই দলেও খেলেছি, আর সিনিয়র দলের কোনো শিরোপা ছিল না, তাই ওটা সবার আগে থাকবে।”