পিঠের ইনজুরির কারণে ৫ আগস্ট বিসিবির নিজ খরচে উন্নত চিকিৎসা নিতে কাতারে গিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। কাতারে ‘এসপেটার’ নামের স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে এই খেলোয়াড়ের চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দেশে ফিরেছেন সাইফউদ্দিন।
ক্যারিয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে আলোচনায় ছিলেন এই অলরাউন্ডার। দেশের ক্রিকেটের জন্য এই পেস অলরাউন্ডার ছিলেন এক অপর সম্ভাবনার নাম। কিন্তু ইনজুরির কারণে বার বারই তাকে থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। আবার ইনজুরি থেকে ফিরে পারফর্ম করতেও হয়েছেন ব্যর্থ যার জন্য জাতীয় দলের ফেরা হয়নি দীর্ঘ দিন। তিনি পারফর্ম করতে পারলে হয়তো বা টাইগারদের ৭ নম্বর পজিশন নিয়ে যে সমস্যা সেটাতে হয়তো আর থাকতো না। তিনি থাকতেন অটো চয়েজ।
সাইফউদ্দিনের ইনজুরি না থাকলেও, সাবধানতা থেকেই কাতারে মেরুদন্ডের ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। এমনটাই বলেন বিসিবি চিকিৎসক মঞ্জুর হোসেন চৌধুরি। মঞ্জুর বলেন, “এই মুহূর্তে তার (সাইফউদ্দিন) তো কোনো ইনজুরি নেই। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও খেলছে। তবে ওনার ব্যাক একটা ইনজুরি আছে, যার কারণে মাঠে অন এবং অফ থাকে। সে কারণে ভালো একজন স্পাইন বিশেষজ্ঞ দেখানো হবে সাইফউদ্দিনকে। সেখানেই তার পরবর্তী চিকিৎসা হবে।”
সাইফউদ্দিনের চিকিৎসা শেষে জানা গিয়েছে ‘এসপেটার’ নামের স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াতে পিঠের ব্যথা কমেছে তার। পিঠে বিশেষ ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে যার ফলে তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। এছাড়া আগামী ৪ সপ্তাহের জন্য সাইফউদ্দিনকে বিশেষ ব্যায়াম দিয়েছেন কাতারের চিকিৎসক।
বিসিবির এই কাতারে চিকিৎসা ক্যাম্পে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে আরও দুই ক্রিকেটার গিয়েছিলেন। তারাও চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। পেসার আশিকুজ্জামানকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ চিকিৎসা। তাকেও কতারে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী আরেক পেসার অভিষেক দাসের ইনজুরি ছিল কুঁচকিতে। কাতারে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনিও সুস্থ আছেন।