সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে পাকিস্তান। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে প্রোটিয়াদের ২৭১ রানের টার্গেট দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। উদ্বোধনী জুটি ব্যর্থ হয় এই ম্যাচেও। তারপরও পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায় বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে সাদাব খানের ৪০ ঊর্ধ্ব রানের কল্যাণে। পাকিস্তান ৪৬.৪ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে করেন ২৭০ রান।
টস জিতে ব্যাট করতে আসা পাকিস্তান শুরুতেই হারিয়ে বসে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট।দলীয় ২০ রানের সময় ৯ রান করা এই ওপেনারকে ফেরান মার্কো ইয়ানসেন। আরেক ওপেনার ইমাম উল হককেও ফেরান এই পেসার। ১২ রান করা ইমাম যখন ফেরেন দলীয় রান তখন ৩৮। এরপর ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুইজনে মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি।
৩১ রান করা রিজওয়ানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন কোয়েটজে। একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে ফিফটি তুলে নেন বাবর আজম। তারপরই বিদায় নিতে হয় তাকে। শামসির বল উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও শেষ মুহূর্তে গিয়ে রিভিউ নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। সফল রিভিউতে ফিরে যান বাবর।
মাঝে ইফতেখার আহমেদ এসে খেলেন ২১ রানের ইনিংস। এরপর জুটি গড়েন সাউদ শাকিল ও শাদাব খান। ৭১ বল খেলে দুইজনে যোগ করেন ৮৪ রান। ৪০তম ওভারে কোয়েটজের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন শাদাব। সমাপ্তি ঘটে তার ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটি। তবে সাদাব ফিরলেও শাকিল ঠিকই তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। এরপর আর ২ রান যোগ করার পরই শামসির শিকার হন এই ব্যাটার। শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজের ২৪ বলে ২৪ রানের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শামসি। এছাড়া ইয়ানসেন ৩ উইকেট ও কোয়েটজে নেন ২ উইকেট