আরও একটি ম্যাচে হার বাংলাদেশের, আবারও কাঠ গড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা হেরেছে বাজে ভাবে। বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির কল্যাণে নাজমুল শান্তর দলকে ভারত হারায় ৭ উইকেটে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল ছন্দহীন। ওপেনিংয়ে দারুণ একটা শুরু পর টাইগারদের টপঅর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের স্কোর বড় হয়নি। ভারতের বিপক্ষে এমন হারের পর টিম সিলেকশন আর ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলে টিম ম্যানেজমেন্টকে দুষছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও।
পুনের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে একজন বাড়তি স্পিনার খেলানো নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। আর পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা অবাক হয়েছেন, ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারকে নিচে খেলানো নিয়ে।
পাকিস্তানের `এ স্পোর্টস` এর ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে ওয়াসিম আকরাম বলেন, “সাকিব ১০ ওভার বোলিং করে থাকে এবং টপঅর্ডারে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটারের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাংলাদেশের কেউ একটি জিনিস আমাকে একটু বোঝান, যখন আপনি মিডল অর্ডার নিয়ে ধুঁকছেন; আপনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ একজন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহকে কেন ৭-৮ নম্বরে খেলানো হয়। তার টেকনিক ভালো, অভিজ্ঞতা আছে তাকে আপনারা ফিনিশার হিসেবে রেখে দিয়েছেন। যেখানে মিডল অর্ডার ব্যর্থ হচ্ছে।”
পাকিস্তান সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ বলেন, “মুশফিক ৬ নম্বরে এসেছে। সে ভালো ফর্মে আছে। সাকিব নেই তার যেই সুযোগটা ছিল সেটা ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে। আপনি কিছুটা হলেও তো পরিবর্তন করতে পারতেন। কারণ সাকিব নেই। জুটি প্রয়োজন ছিল। মুশফিক ভালো ফর্মে। এই দুজনকে ওপরে খেলালে তারা খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত।”
মালিক বলেন, “প্রতিভা আছে। অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তবে যারা বিশ্বকাপে খেলছে, তারাই ওদের সেরা। আমরা যখন লিগ খেলি সেখানে, তখন এরাই ধারাবাহিক পারফর্ম করে। তবে লিগগুলো টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয়। টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় ছোট পারফরম্যান্সও অনেক বড় হয়ে যায়। দলগুলো যখন বাংলাদেশে খেলতে যায়, তখন বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করার চ্যালেঞ্জ থাকে। ঘরের মাঠে টার্ন থাকে, বল নীচু হয়ে আসে। যদি মিরপুরে খেলি, অনেক সময় তো ১১০ রানই করা কঠিন হয়ে যায়। বল স্পিন ও সিম দুটোই। মিরপুরের তুলনায় চট্টগ্রামের কন্ডিশন ভালো। ”