হারিস রউফের দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বড় জয় পেল পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আফিগানিস্তান অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। ফলে ১৪২ রানের বড় জয় পায় বাবর আজমরা। পাকিস্তানের হয়ে একাই পাঁচ উইকেট নেন হারিস রউফ।
এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আযম। বাবর-রিজওয়ানকে ফিরিয়ে শুরুতেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন মুজিব। শুরুটা অবশ্য করেছিলেন ফজলহক ফারুকী। ইনিংস শুরুর প্রথম ওভারেই ফারুকীর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ২রান করা ফখর জামান। ক্রিজে এসে রানের খাতা খোলার আগেই বাবরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মুজিব উর রহমান। ওপেনার ইমামকে সঙ্গ দিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু তাকেও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ক্রিজে স্থায়ী হতে দেননি মুজিব।
৪০ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানের পরের জুটি এগোয়নি ২২ রানের বেশি। আঘা সালমান ২৯ বলে ৭ রান করে রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হন। এরপর ইমামকে পঞ্চম উইকেটে ইখতিখার আহমেদ ও ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খান সঙ্গ দিয়ে কোনো রকম দলের রান দেড়শ পার করেন।
শেষদিকে নাসিম শাহর ২৭ বলে অপরাজিত ১৮ রানে ভর করে দুইশর ঘরে পৌঁছায় পাকিস্তান। কিন্তু শেষ উইকেটে হারিস রউফ সঙ্গ দিতে না পারায় তিনি আর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৪৭.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রানে থামে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের পক্ষে ইমাম-উল-হক ছাড়া আর কেউ ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়াতে পারেননি। ৯৪ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬১ রান। এছাড়া শাদাব খানের ৩৯ ও ইখতিখার আহমেদের ৩০ রানে ভর করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাবর আজমের দল। পাক ব্যাটারদের বল হাতে ঘায়েল করেছেন মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান। মুজিব নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নবি ও রশিদ।
২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। দলটির আটজন ব্যাটসম্যান সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হন। পাকিস্তানের হয়ে উইকেট নেওয়াটা শুরু করেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। এই পেসার তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে ইবরাহিম জাদরান ও রহমত শাহর উইকেট তুলে নেন। স্কোরবোর্ডে খাতা খুলেনি দুইজনের একজনও। এরপর অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদীর উইকেট তুলে নেন নাসিম শাহ। তিনিও আউট হন শূণ্য রানে। এরপরে বল হাতে আবির্ভাব হারিস রউফের। তার শিকারে পরনিত হন একে একে গুরবাজ-ইকরাম-নবী-রাশিদ ও মুজিব। অবশ্য মাঝে এক উইকেট তুলে নেন সাদাব খান। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ রান করেন গুরবাজ। এছাড়া রিটার্য়াড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ১৬ রান। ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হারিস রউফ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ২৪ আগস্ট।