এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নেপাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে সককয়টি উইকেট হারিয়ে হিমালয়ের দেশটি তুলে ২৩০ রান।
এদিন শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে মানে নেপাল। দলটার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন আসিফ শেখ ও কুশল ভুর্তেল। ভারতীয় ফিল্ডারদের কল্যাণে এই দুই জন দারুণ শুরুএনে দেন দলকে। শুরুতেই একের পর এক ক্যাচ মিস করেন রোহিত শর্মারা। নেপালের প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৬৫ রানে। শার্দুল ঠাকুরের বলে ২৫ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন ভুর্তেল।
এক উইকেট পতনের পর নেপালের পরের তিন ব্যাটার দ্রুত ফিরে গিয়েছেন। ভীম শর্কী করেন ৭ অধিনায়ক রহিত পাউডেল করেন ৫ রান। এরপর কুশাল মাল্লা ২ রান করে ফিরলে তখন নেপালের স্কোর বোর্ড দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১০১ রান।
এরপর ওপেনার আসিফ ভারতীয় বোলারদের প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন গুলসান ঝাকে সঙ্গে নিয়ে। তারা দুজন ৩১ রানের পার্টনারশিপ করেন। এই জুটি ভাঙে আসিফের বিদায়ে। মোহাম্মাদ সিরাজের বলে বিরাট কোহলির তালু বন্দি হওয়ার আগে আসিফ করেন ৯৭ বলে ৮ চারে ৫৮ রান।
এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গুলসানও। এই ব্যাটার ২৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর সোমপাল কামিকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েন দীপেন্দ্র সিং আইরি। তাদের জুটি থেকে আসে ৫০ রান। এর মাঝে অবশ্য বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে বেশ কিছুক্ষণ। দারুণ খেলতে থাকা এই জুটি ভাঙে হার্দিক পান্ডিয়া। ২৯ রান করা দীপেন্দ্রকে ফেরান তিনি।
এরপর সন্দ্বীপ লামেচানেকে নিয়ে স্কোর বাড়ানোর কাজটা ঠিকঠাক চালিয়ে যান সোমপাল। তবে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে সোমপালকে আউট করেন মোহাম্মদ সামি। তিনি যখন আউট হন দলীয় রান তখন ২২৮। এরপর আর ২ রান যোগ করতেই ফিরে যান শেষ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে ১০ বল বাকি থাকতে ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজা।