দারুণ ছন্দে রয়েছেন পাকিস্তান দলের তিন পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহরা। এই পেস-ত্রয়ী যেকোনো দলের ব্যাটসম্যানদের জন্য ভীতি-জাগানিয়া। এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে এই তিন পেসার মিলে নেন ৫ উইকেট। দেড় শ স্পিডের কাছাকাছি বল করা পাকিস্তানি এই বোলাররা, এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে, চির প্রতিদ্বন্ধী ভারতের ব্যাটারদের ভালো পরীক্ষা নেবেন, তা জানা আছে দলটির ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির। তবে কোহলিও প্রস্তুত তাদের মোকাবিলায়।
দীর্ঘদিন পর শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আবার মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। এশিয়া কাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াইয়ে নামার আগে বিরাট জানাচ্ছেন, কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে পাকিস্তানি বোলারদের সামলানো যায়।
কোহলি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, পাকিস্তানের শক্তি হলো ওদের বোলিং। ওদের দলে দারুণ কিছু বোলার আছে। যাদের দক্ষতা আছে যেকোনো মুহূর্তে ম্যাচের ছবিটা বদলে দেওয়ার। তাই ওদের খেলতে গেলে নিজের সেরা ছন্দে থাকতে হবে।”
বিরাট কোহলি নিজে অবশ্য এক দিনের ক্রিকেটে ভালো ছন্দেই রয়েছেন। শেষ ১৩ ম্যাচে ৫৫৪ রান করেছেন এই ব্যাটসম্যান।
নিজের মানসিকতা নিয়ে ভারতীয় এই ব্যাটার বলেছেন, “আমি কেবল চেষ্টা করি কীভাবে আমার খেলা উন্নত করা যায়। প্রতিনিয়ত আমি বোঝার চেষ্টা করি কোথায় উন্নতি করতে পারি। প্রতিদিন প্রতিটা অনুশীলনে, প্রতিবছর এবং প্রতি মৌসুমে এই ভাবনাই আমাকে এতদিন ধরে ভালো খেলতে এবং আমার দলের হয়ে পারফর্ম করতে সাহায্য করেছে। প্রতিদিন আমি নিজেকে প্রশ্ন করি কীভাবে দলকে সাহায্য করতে পারি। আমি মনে করি, এই মানসিকতা ছাড়া ধারাবাহিক পারফর্ম করা যায় না। কারণ, পারফরম্যান্সই যদি একমাত্র লক্ষ্য থাকে, তাহলে আত্মতুষ্টিতে ভুগে কঠোর পরিশ্রম করা বন্ধ করে দেবেন আপনি। পরিশ্রমের কোনো সীমা নেই। আমার মনের মধ্যে সব সময় একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে, কীভাবে দলকে আমি এই অবস্থা থেকে জেতাব। এই মানসিকতাই আমাকে সাফল্য এনে দেয়।”
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ তিনটি এক দিনের ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। কিন্তু শেষ ম্যাচটি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে।