ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাট হাতে দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। টি-টোয়েন্টিতে অবস্থান চার নম্বরে। ৯৮ ইনিংসে ব্যাট করে ৩,৪৮৫ রান করেছেন তিনি। এভারেজ তার ৪১.৪৮ আর স্ট্রাইকরেট অলমোস্ট ১২৯ এর কাছাকাছি। সেঞ্চুরি ৩টি আর হাফসেঞ্চুরি ৩০টি। এমন পারফরমেন্স থাকার পরও পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে বাবর আজমের জায়গা দেখেন না পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম।
ওয়ানডে ও টেস্টের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিরও আর অধিনায়ক নন বাবর। দায়িত্ব ছাড়ার পরেই বাবরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তারই এক সময়ের এই দুই সতীর্থ। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে ইমাদ জানান, `কঠিন সিদ্ধান্ত` হলেও বাবরকে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া উচিত নয়।
ইমাদ বলেন, “বাবরকে বাদ দেওয়া এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে । তবে আমার মনে হয় বাবরের টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা প্রাপ্য নয়।”
মোহাম্মদ আমিরের কণ্ঠেও একই রকম কথা। তার কথা, “বাবর টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাওয়া ডিজার্ভ করেন না।”
পাকিস্তানের সেই টিভি চ্যানেলে আমির আরও বলেন, “আমরা বলছি, সিস্টেম ঠিক করতে হবে, সিস্টেমকে বদলাতে হবে, অধিনায়ক বদলালে হবে না। উদাহরণ দেওয়া যাক-১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি, এই সিস্টেমই কিন্তু ছিল। ১৯৯৯ সালে আমরা ফাইনালে খেলেছি, তখনো একই সিস্টেম ছিল। এরপর আমরা ২০০৯ সালে একই সিস্টেম নিয়ে বিশ্বকাপ জিতলাম। একইভাবে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও জিতেছি। এতে কী প্রমাণিত হয়? একই সিস্টেম অনেক দিন ধরে চলে আসছে। তাই অধিনায়কই হচ্ছে আসল ব্যাপার। অধিনায়ককে সিস্টেম থেকে আলাদা করবেন না। এই অধিনায়কই চার বছর ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে–ই নিজের মনমতো এই দল তৈরি করেছে।”
ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরের এই কথা অনেকের কাছেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে বলা বলে মনে হয়েছে। তার সময়েই এই দুজন জায়ীয় দল থেকে জায়গা হারান। বিভিন্ন সময় সুযোগ পেলেই বাবরের অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন তারা।