বার্নলির বিপক্ষে শুক্রবার (১১ আগস্ট) ম্যাচ দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথম দল হিসেবে টানা চার লিগে এবার শিরোপা জয়ের হাতছানি সিটির সামনে, যা পুরোপুরি কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছে পেপ গার্দিওলার দল। দুদলের এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার রাত একটায়।
প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার পাশাপাশি এফএ কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের সুখস্মৃতি থেকে এখনো যেন বেরিয়ে আসতে পারেনি সিটিজেনরা। সেই স্মৃতিকে পুঁজি করেই এবারো ভাল কিছু করার প্রত্যাশায় তারা মাঠে নামবে। গত কয়েক মৌসুমের আধিপত্য বিবেচনায় সে কারনে সিটিকেই শিরোপা জয়ের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু করার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ম্যানসিটি কোচ বললেন নতুন শুরুর কথা। তিনি বলেন, “ গত মৌসুমে আমরা যা করেছি, এমনটা (সব সময়) করা সম্ভব নয়, এটা জীবনদশায় একবার করার মতো বিষয়। আমরা গত মৌসুমে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠেছি, কিন্তু গত দুই দিনে সেখান থেকে নেমে এসেছি এবং এখন নতুন করে শুরু করছি।সবারই একই লক্ষ্য থাকে। তবে যতটা সম্ভব উঁচুতে উঠতে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের ফুটবল, খেলার ধরন, মানসিকতা নির্ধারণ করবে মৌসুমটি কেমন হবে।”
যদিও গ্রীষ্মকালীণ ট্রান্সফার মার্কেটে গার্দিওলার দলকে অনেকটাই নিষ্প্রভ মনে হয়েছে। তার উপর অধিনায়ক ইকে গুনডোগান ক্লাব ছেড়ে বার্সেলোনায় ও রিয়াদ মাহরেজ সৌদি লিগে পাড়ি জমিয়েছেন। কাইল ওয়াকার ও বার্নান্ডো সিলভাবে দলে ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সিটি। ফ্রি ট্রান্সফারে এখন পর্যন্ত দলে এসেছে দুই ক্রোয়েশিয়ান মাতেও কোভাচিচ ও জোসকো গাভারডিওল।
গার্দিওলার স্থানে বিপরীত ডাগ আউটে থাকা ভিনসেন্ট কম্পানির ভাস্কর্য্য ইতোমধ্যেই ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামের বাইরে শোভা পাচ্ছে। সিটির সাবেক এই অধিানয়ক খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের কোচিং ক্যারিয়ারেও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। তার অধীনে বার্নলি সাত ম্যাচ হাতে রেখে আবারো প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। টার্ফ মুরে ক্রান্তিকালে যোগ দিয়ে ভিনসেন্ট শেষ পর্যন্ত ছিলেন সফল।
পরিসংখ্যান অবশ্য এগিয়ে রাখছে সিটিজেনদের। এখন পর্যন্ত ২০ বারের দেখায় ম্যানসিটির জয় ১৬ ম্যাচে আর বার্নলি সিটিজেনদের হারিয়েছে ১ ম্যাচে। বাকি ৩ ম্যাচ ড্র। এখন পর্যন্ত সিটিজেনরা বার্ণলির জালে গোল দিয়েছে ৬৩টি আর গোল হজম করেছে ১২টি। বার্নলি শেষ যে জয়টি পেয়েছিলো তাও ২০১৪-১৫ মৌসুমে।