তামিম ইস্যু শেষ হতে না হতে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড সম্মুখীন হল আরও একটি ঝামেলার। হঠাৎ করেই নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। খালেদ মাহমুদ সুজন ও বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। সম্প্রতি এই বিষয়ে রকিবুল হাসানকে তলব করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তার জবাবও দিয়েছেন তিনি। বিসিবির প্রধান ম্যাচ রেফারি হিসেবে রকিবুল হাসানের এমন মন্তব্য সহজেই মেনে নেওয়া হচ্ছেনা। তার বিরুদ্ধে বোর্ডের নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন আভাসও দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক এবং আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার মিঠু।
বোর্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা অবস্থায় কারো কারো বেঁফাস মন্তব্যে বিসিবি এখন অস্বস্তিতে। সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান যিনি ম্যাচ অফিসিয়াল প্রধান। ড্রেসিং রুমে হেড কোচ হাথুরুর ছেলেকে দেখে গণমাধ্যমে করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য। যে কারণে বিব্রত বিসিবি।
বিসিবি`র পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন,” নিশ্চিতভাবে বিব্রত। কারণ, তিনি একজন ম্যাচ রেফারি। তার তো এর বাইরে কথা বলা উচিত না। তিনি একজন ম্যাচ রেফারি হয়ে আরেকজন ইমপ্লোয়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। তিনি যেসব কথা বলেছেন তা প্রমাণ ছাড়াই বলেছেন। ওনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ওনাকে আমি বলেছি, আগামীতে যেন তিনি এমন মন্তব্য না করেন। আর তিনি যেসব অভিযোগ করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। ফলে আমি মনে করি, তার এমন করাটা উচিত হয়নি “
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে বিতর্ক মুক্ত থাকতে চায় বিসিবি। তাই বেঁফাস মন্তব্যের কারণে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সঙ্গে বসবেন রকিবুল হাসান। সেখানে আচরণ বিধি ভঙ্গের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবে ক্রিকেট বোর্ড।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ”তিনি যদি ক্রিকেটের নিয়ম ভেঙে থাকেন, তাহলে সেটা বিবেচনা করা হবে। তিনি চাকরি করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। এখন তার এমন মন্তব্য যে নিয়মে পড়বে, এ নিয়ে তাকে সামনে জিজ্ঞেস করা হবে। এটা তো বাস্তব, যে আপনি ক্রিকেটের নিয়ম ভাঙছেন। তো এই প্রসেসে যা ক্রিকেট বোর্ড যা করার সেটাই করবে। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি আছে তারা তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করবে যে, তিনি কোন ভিত্তিতে এসব কথা বলেছেন।”
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ছাড়াও খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন রকিবুল হাসান। এই ইস্যুতেও সরব ছিলেন মিঠু, ”আমি উনার সাথে কথা বলেছি। অবশ্যই বিব্রত। যেহেতু আমার অধীনে কাজ করেন। উনি ম্যাচ রেফারি, এর বাইরে তো উনার কথা বলা উচিৎ না। বোর্ডের আরেক কর্মী বা পরিচালকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করছেন। আপনি অফিসের আরেকজন সহকর্মীকে নিয়ে এভাবে বলা তো বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।”
সম্প্রতি এক টকশোতে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের ছেলেকে নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরিই তাকে নিয়ে চলছে বিতর্ক।