বাংলাদেশের চোখ এখন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিকে

প্রথম ম্যাচের পর বিশ্বকাপে যেন জয়ের দেখাটা ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা ছয় ম্যাচ হেরেছিল তারা। এরপর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে স্বস্তির জয় পেল বাংলাদেশ। কারণ, এই ম্যাচে হারলে টাইগারদের শেষ হয়ে যেত ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলার স্বপ্ন। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়টা সেই আশাটা এখন বাঁচিয়ে রাখল টাইগারদের। সাকিব আল হাসানদের পরের ম্যাচ ১১ নভেম্বর। পুনেতে সেই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। আর এবার এই ম্যাচটি জিততে চায় বাংলাদেশ অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আশা বাংলাদেশ অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয় লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন জয়ের পর অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সম্ভব কি না? তার উত্তরে তিনি বলেন, “আমি যেটা বললাম আত্মবিশ্বাস তো দেবেই। ম্যাচ জেতা ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই আসলে। আমাদের জিততেই হবে এবং সেটার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত থাকব। অনেক সময় হয় যে হারতে থাকলে মনের ভেতর থেকে জিদটা আসে না, আত্মবিশ্বাসটা আসে না। এই ম্যাচটা হয়ত আমাদের আত্মবিশ্বাস ও জিদ দুটোই দেবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দল ভিন্ন মনোভাব নিয়েই খেলবে পরের ম্যাচে। ভালো খেলার এবং ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবে।”

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী কি না। এই বিষয়ে টাইগার অধিনায়ক বলেন, “অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। সেটা যদি জিতি তাহলে মোটামুটি হয়ত শিউর থাকব আমরা কোয়ালিফাই করব। তাই আমাদের জন্য বাঁচা-মরা পরিস্থিতি। আমরা চেষ্টা করব সবকিছু দিয়ে ম্যাচটা জেতার।”

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে লঙ্কানদের বিপক্ষে শুধু জয় নয়, সাকিবদের নজর রাখতে হয়েছিল রানরেটের দিকেও। আর সেই কাজটা ভালোভাবেই করেছে তারা। সাকিব বলেন, “১৭-১৮ ওভারের দিকে আমরা বলেছিলাম আমরা যদি ৩০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পারি আমরা তখন ম্যাচকে শেষের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারব। আর আমাদের একজন যদি উইকেটে থাকতে পারে তবে আমরা ম্যাচ দ্রুতই শেষ করতে পারব। কিন্তু আমরা দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়েছি। আমি ও শান্ত আউট হয়ে গেছি। আমরা তবু চেষ্টা করছিলাম ৪১.২ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার, যা আমাদের কয়েকটি দলের চেয়ে এগিয়ে রাখবে। এর জন্য আমাদের কয়েকটি উইকেট হারাতে হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি আমরা খুশি।”