• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৭:১১ পিএম
লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় আউট হওয়ার পর দুশোর আশেপাশে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের ঘাড়ে। টাইগাররা সেই শঙ্কা এড়ায় লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যাটে। নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী ও তানজিম হাসান সাকিবরা ২৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দেন লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি বাংলাদেশের টপ-অর্ডাররা ব্যর্থ হয়েছেন। এদিন অবশ্য নতুন উদ্বোধনী জুটি নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, তিনি সুযোগ পান এ ম্যাচে, তার সঙ্গী হন লিটন দাস। 

তামিম শুরুটা করেছিলেন বেশ ভালো। মোহাম্মদ সামির করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন তামিম। এরপর দ্বিতীয় ওভারে আসা শার্দুল ঠাকুরের ওভারে ২টি চার মারেন তামিম। ২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১৩। যেখানে পুরো রানটাই তামিমের।

এরপরিই বিদায় লিটন দাসের। নিজেকে হারিয়ে ফেরা বাংলাদেশের সহ অধিনায়ক ব্যাট হাতে এই ম্যাচেও ব্যর্থ। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন সামির বলে। লেংথ থেকে সিমে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে লিটনকে মনে হয়েছে বিস্মিত। ব্যাট ও প্যাডের মাঝে গ্যাপ, পা-ও নড়েনি সেভাবে। লিটন বোল্ড হয়ে যান তিনি। বল খেলেছেন ২টি।

দারুণ শুরু তামিমও ফেরেন পরের ওভারে। শার্দুলের পরের ওভারে বোল্ড হন। ক্রস সিম ডেলিভারি ছিল। যতটা ভেবেছিলেন, ততটা গতি ছিল না। পুল শটে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়েছেন তানজিদ। ১২ বলে ১৩ রান করেন তিনি। যাতে চার আছে ৩টি।

প্রায় নয় মাস পর দলে জায়গা পাওয়া এনামুল হক বিজয় প্রথম ৮ বলে করেনশূণ্য রান। নবম বলে পুল করে চার মেরে খোলেন রানের খাতা। এরপরিই বিদায়। শার্দূল ঠাকুরের শর্ট বলের ফাঁদে সহজেই পা দিয়ে ফিরে গেলেন তিনে আসা বিজয়।

এরপর সাকিব ও মিরাজ মিলে চাপ সামাল দিতে থাকেন। এরমধ্যে মিরাজ দুবার জীবন পান। একবার তিলক বার্মা ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন, আরেকবার ক্যাচ ছেড়ে দেন সূর্যকুমার যাদব। তবে রোহিতের কাছ থেকে আর বাঁচতে পারেননি তিনি। ১৩ রানে আউট হন তিনি। তার উইকেট শিকার করেন অক্ষর প্যাটেল।

৫৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। চাপে থাকার মুহূর্তে দিশা দেখালেন সাকিব আল হাসান। তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে। নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ে টাইগার অধিনায়ক তুলে নেন অর্ধশতকও। এরপর আরও সাবলীল দেখা যায় ব্যাট হাতে সাকিবকে। এক সময় সেঞ্চুরির আশাও দেখাচ্ছিলেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজার ওভারে ছয়ের পর অক্ষর প্যাটেলের এক ওভারেই সাকিব উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করেন দুবার। অন্যপ্রান্তে হৃদয়ও ভালো সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে সাকিব-হৃদয় জুটি একশ রান পার করে। কিন্তু এর পরই ছন্দপতন। । শার্দুল ঠাকুরের করা শর্ট বাউন্স বল খেলতে গিয়ে ব্যাটে লেগে বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। এতেই শেষ হয় সাকিবের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস।

সাকিবের বিদায়ে উইকেটে আসেন শামীম পাটোয়ারী। ১রান করে ফিরে যান তিনি। জাদেজাকে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন তিনি। চাপের মুখে ব্যাটিং করে অর্ধশতক তুলে নেন হৃদয়ও। ফিফটির পর ইনংসটাকে লম্বা করতে পারেন নি তিনি। হৃদয়ের ৮১ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি শেষ হয় সামির বলে ডিপ মিড উইকেটে তিলকের হাতে ধরা পড়লে।

হৃদয়ের বিদায়ের পর বাংলাদেশের স্কোর সম্মানজনক জায়গায় নিতে সাহায্য করে নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদির জুটি। এই জুটি ৪৫ রান তোলার পর বিদায় নেন নাসুম আহমেদ। ৪৪ রান করা নাসুমকে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃঞ্চা। শেষ দিকে শেখ মেহেদির ২৯ ও অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিবের ১৪ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ২৬৫ রানের স্কোর দাঁড় করায়।

Link copied!