হতে পারে ৫১১ রান বিশ্বরেকর্ড টার্গেট এবং চতুর্থ ইনিংসে তা অতিক্রম করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া কঠিন। কিন্তু চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টার্গেটটি অতিক্রম করার চেষ্টা তো করতেই পারতো স্বাগতিকরা। সেটা তো দূরের কথা, মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কে, কীভাবে, কার আগে প্যাভিলিয়নে ফিরবেন, যেন সেই প্রতিযোগিতা দেখলেন দর্শকরা।
এলোমেলো ব্যাটিংয়েই এই অবস্থা বাংলাদেশের। পঞ্চম দিনে বাংলাদেশ ২৪৩ রান করলে জিতবে। সবই ঠিক আছে, কিন্তু উইকেট তো হাতে মাত্র ৩টি। অথচ, উইকেট হাতে থাকলে বাংলাদেশ বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে পারতো।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দায়িত্বহীন ব্যাটিং করে ফিরেছেন ৩ টপঅর্ডার মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এরই মধ্যে মুমিনুল হক হাফ সেঞ্চুরি করেন। তবে ফিফটি করে আর টিকতে পারেননি। ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করে জয়সুরিয়ার বলে লাহিরু কুমারার হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল।
সাকিব আল হাসান থিতু হলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। ৩৬ রান করে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। লিটন দাসও বড় স্কোরের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন। যদিও ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ২৪৩ রানের সময় শাহাদত হোসেন (১৫) আউট হন। মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৪ এবং তাইজুল ১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করলে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
শ্রীলঙ্কার লাহিরু, প্রবাথ জয়াসুরিয়া ও কামিন্দু মেন্ডিজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তোলার পর দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা দেয় লঙ্কানরা। এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৭৮ এবং শ্রীলঙ্কা ৫৩১ রান করে।
আগের দিন প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ৫৬, নিশান মাধুশঙ্কা ৩৪ ও প্রবাথ জয়াসূরিয়া অপরাজিত ২৮ রান করেন। বাকিরা কেউ ডাবল ফিগারে যেতে পারেননি।
বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ৪টি, খালেদ আহমেদ ২টি এবং সাকিব ১টি উইকেট পান।
আপনার মতামত লিখুন :