প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেছেন ৬৬ ওভার পর। এটা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই তাকে দেখা গেলো বল হাতে। শুধু বলই করেননি, নিয়েছেন দুই উইকেট। এছাড়া দুই উইকেট গেছে আরেক স্পিনার তাইজুলের হাতেও। দুই স্পিনারের তোপে ১৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে আয়ারল্যান্ড, আর জয়ের সুবাস পাচ্ছে টাইগাররা।
২৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে আয়ারল্যান্ড। এতে করে ১৫৫ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ।
এর আগে বুধবার (৫ এপ্রিল) দিনের শুরুতেই মুমিনুল হককে হারায় বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম মিলে গড়েন ম্যারাথন জুটি।
ইনিংসের ৪৪তম ওভারে আইরিশ স্পিনার অ্যান্ড্রি ম্যাকবার্নির অফ সাইডের অনেক বাইরের বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন সাকিব। সেই বল সাকিবের ব্যাটে স্পর্শ করে জমা পড়ে আইরিশ উইকেটরক্ষকের ব্যাটে। দলীয় ১৯৯ রানে ফেরার আগে সাকিব করেন ৯৪ বলে ১৪ চারে ৮৭ রান। সাকিবের বিদায়ে ভাঙে ১৫৯ রানের জুটি।
সাকিব না পারলেও সেঞ্চুরি আদায় করেন মুশফিক। ১৩৬ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান এই উইকেটরক্ষক। তার ইনিংসটি সাজানো ১৩টি চার ও ১টি ছয়ে। ক্যারিয়ারের এটা তার ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরি। শেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন ২০২২ সালের মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘরের মাঠে ১৭৫* রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
শুরু থেকে আগ্রাসী লিটন অল্পের জন্য মিস করেন ফিফটি। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।শেষদিকে দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে অন্যরা দ্রুত বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৫ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৬৯ রানে। ১৫৫ রানের লিড নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নেমে সাকিব ও তাইজুলের তোপে ১৩ রানের চার আইরিশ ব্যাটারকে ফেরত পাঠায় টাইগাররা।
সাকিব ও তাইজুল নেন সমান দুইটি উইকেট। দ্বিতীয় দিন শেষে ১২৮ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
আপনার মতামত লিখুন :