সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) শিরোপার জন্য ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।
ম্যাচের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। এদিন শুরুতেই পাকিস্তান এগিয়ে যায়। ষষ্ঠ মিনিটে ১ গোলের লিড নেয় পাকিস্তান। পিছিয়ে পড়রার পর সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত থেকে এক ক্রসে মোর্শেদ আলী হেড দিয়ে গোল করেন। লাল-সবুজ বাহিনীরা ম্যাচে ফিরে আরও আক্রমণান্তক হয়ে উঠে। এরপর ২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবু সাইদ।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালের বাড়ানো স্কয়ার পাসে পাকিস্তানি ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। সেই ডিফেন্ডার ভুল করলেও বাংলাদেশের সাইদ বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি। সাইদের গোলেই ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই পাকিস্তান মরিয়া হয়ে উঠে ম্যাচে ফিরতে। আর অন্যদিকে ফয়সালরা গোলের ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা চালাতে থাকে। তবে কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিল না। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে রেফারি সাত মিনিট ইনজুরি সময় দেন। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পাকিস্তান সমতায় ফেরার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশের গোলরক্ষক পরাস্ত হলে ফাঁকা পোস্টের সামনে বল পায় পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড। সেই বল রিসিভ করতে না পারায় ম্যাচে আর তাদের সমতায় ফেরা হয়নি।
পরের মিনিটে অবশ্য সুযোগ পায় বাংলাদেশও ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারাও গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে পরে আর কোনো বিপদ হয়নি শেষ হাসিটা বাংলাদেশই হেসেছে। পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে ফয়সাল, সাইদরা।
ফিফার নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরা পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সকল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিফাইনাল উঠে। দিনের প্রথম সেমিফাইনালে ভারত ৮-০ গোলে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। ফাইনালে আবার সেই গ্রুপের প্রতিপক্ষ ভারত-বাংলাদেশ।