প্রত্যাবর্তনটা কেমন হওয়া উচিত তা বুঝিয়ে দিলেয়েছেন ট্রাভিস হেড। ইনজুরি কাটিয়ে এসেই খেললেন শতরানের ইনিংস। সুস্থ হয়ে ফিরেই বুঝালেন দল কেন তার ইনজুরি থাকা সত্ত্বেও কাঁধে নিয়ে বেড়িয়েছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ভারতের ধর্মশালায় শুরু হওয়া ম্যাচে নিউজিল্যান্ড বোলারদের ব্যাট হাতে করেছেন কচুকাটা। ২৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। ট্রাভিস হেডের এই অর্ধশতক এবারের বিশ্বকাপে যৌথভাবে দ্রুততম। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫ বলে অর্ধশতক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৩ রান।
এদিকে, শুধু হেড নয় কিউই বোলারদের ওপর ব্যাট হাতে রাজত্ব করেন আরেক ওপেনার ওয়ার্নারও। তিনিও করেন হাফসেঞ্চুরি। তবে তার অর্ধশতকটা আসে হেডের থেকে ৩ বল বেশি খেলে। অর্থাৎ ২৮ বলে। এই দুই ব্যাটার পাওয়ার-প্লের প্রথম ১০ ওভারে বাউন্ডারি মারেন ২১টি। এদিন অস্ট্রেলিয়া প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ১১৮ রান। আর বিশ্বকাপে ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনরাই অর্ধশতক পেয়েছেন ইনিংসের ৯ ওভারের মধ্যেই। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হয় ওয়ার্নার। ৮১ রানেই তাকে থামতে হয়। তার উইকেটটি তুলে নেন গ্লেন ফিলিপস। আউট হওয়ার আগে ওয়ার্নার মারেন ৫ চার ও ৬ ছক্কা। এই স্পিনার পরে ফেরান শতক হাঁকানো ট্রাভিস হেডকেও। ১০ চার ও ৭ ছক্কায় ১০৯ রান করে ফেরেন হেড।
নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগের দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়ার্নার। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হেড গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ ওয়ানডেতে বাঁ হাতে চোট পান। স্ক্যানে চিড় ধরা পড়ে বাঁহাতি ওপেনারের। তাকে দেশে রেখেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসে অস্ট্রেলিয়া।