ফুটবল বিশ্বকাপ আসলেই দেখা যায় এমন চিত্র! পছন্দের দলকে সমর্থন করে উন্মাদনায় মেতে ওঠেন বাংলাদেশিরা। যেহেতু আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থক বেশি তাই এই দলের সমর্থকরাই বারবার সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে উঠে আসেন।
তবে সেই গণ্ডি এবার ছাড়িয়েছে দেশের সীমানা! আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত বাংলাদেশি সমর্থকদের নিয়ে খবর প্রচারিত হচ্ছে। এমনকি স্বয়ং ফিফা ও আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি সমর্থকদের খেলা দেখা ও প্রিয় দলের জয় উদযাপনের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
তবে এগুলও এতক্ষণে পুরনো খবর! এবার আর্জেন্টাইনরা মজেছে বাংলাদেশ নিয়ে। ফুটবলে বাংলাদেশ থেকে যে সমর্থন পাচ্ছে সেটা ক্রিকেটের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিতে চায় তারা।
ইতিমধ্যে কয়েকজন আর্জেন্টাইন মিলে একটি ফেসবুক গ্রুপও খুলেছে। গ্রুপটির নাম ‘ফ্যানস আর্জেন্টিনোস ডি লা সিলেচিয়ন ডি ক্রিকেট ডি বাংলাদেশ’। অর্থাৎ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য আর্জেন্টিনার ফ্যানদের ভালোবাসা। গ্রুপটির অ্যাডমিন আর্জেন্টাইন ড্যান ল্যান্ডে।
গ্রুপ খোলার পর বাংলা ভাষায় বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তিনি। সেখানে আর্জেন্টাইনরা নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছে, জানতে চাইছে বাংলাদেশ সম্পর্কে, বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে। গ্রুপের সংখ্যা দুই দিনেই ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার!
গ্রুপটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে গেছে ফেসবুকে। সেখানে প্রতি মুহূর্তেই বাংলাদেশিরা যোগ দিচ্ছেন। এত বাংলাদেশিকে গ্রুপে যোগ দিতে দেখে একটি ভিডিওতে বাংলা ভাষায় গ্রুপের নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাডমিন।
এমনকি ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা ছিল সে খবরও জোগাড় করেছে তারা। ইন্টারনেটের সহযোগীতা নিয়ে সাকিব, মুশফিকদের ছবি নামিয়ে জানতে চেয়েছে তাদের সম্পর্কে।
এরপর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডের আগে টাইগারদের সমর্থন জানিয়ে গ্রুপ ও নিজেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টও দিয়েছে তারা।
গতরাতে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ‘আমরা ভারতকে হারিয়েছি! ভামোস আর্জেন্টিনা, ভামোস বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের জয় উদযাপন করেছেন একাধিক আর্জেন্টাইন। এমনকি সাকিব-লিটনদের জয়ে তারা ভিডিও বানিয়েছেন। এছাড়া আর্জেন্টিনার শীর্ষ সংবাদমাধ্যমেও বাংলাদেশের জয় ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে।
আর্জেন্টাইনদের এই গ্রুপ খোলা ও অকুণ্ঠ সমর্থন যেন, ‘ভালোবাসলে ভালোবাসা পাওয়া যায়’ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। ফুটবলের ভালোবাসা ক্রিকেটে ফিরিয়ে দিতে চার, এর চেয়ে সুমধুর লাইন বাংলাদেশিদের জন্য আর কি হতে পারে।