দুই ওপেনার মিলে গড়লেন ১৩৭ রানের জুটি, অথচ এরপর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লো মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্তগ ২৩৬ রানের লড়াকু স্কোর দাড় করালেও আবাহনীর ওপেনার নাঈম শেখের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে সহজেই জয় পেয়েছে আবাহনী।
বুধবার (২২ মার্চ) হোম অফ ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের (ডিপিএল) তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ১৫ ওভার বাকি থাকতে মোহামেডানকে ছয় উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে আবাহনী। টানা ৩ জয়ে তৃতীয় রাউন্ড শেষ করল মোসাদ্দেক হোসেনের দল।
২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় আবাহনী। ব্যক্তিগত ১৮ বলে ১৭ রান করে রুয়েল মিয়াকে উইকেট ছুঁড়ে দেন এনামুল হক বিজয়।
এরপর তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে স্কোরবোর্ডে নিয়মিত রান যোগ করতে থাকেন নাঈম শেখ। তাদের জুটি ভাঙে জয়ের বিদায়ে। দলীয় ৬৫ রানে জয় ফেরেন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। চারে নামা ভারতীয় ক্রিকেটার বাবা ইন্দ্রজিতও বিদায় নেন ৯ রানে।
অন্যপাশে আসা যাওয়ার মিছিল থাকলেও, আরেক পাশে দারুণ ব্যাটিং করে ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম শেখ। আফিফের সাথে তার জুটিতে জয়ের পথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল আবাহনী।
নাঈমকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া আফিফ হোসেন হাফসেঞ্চুরি মিস করেন এক রানের জন্য। ৪৯ রানে তাকে ফিরিয়ে দেন সৌম্য সরকার। এরপর নাঈমকে সঙ্গ দেন আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাঈম।
দুই ওভার পর দলের জয়ও নিশ্চিত হয় তার ব্যাটেই। শেষ পর্যন্ত নাঈম অপরাজিত থাকেন ৮৬ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলে। অন্যপ্রান্তে মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।
এর আগে আগে ব্যাট করে মোহামেডানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের জুটিতে প্রথম উইকেটে মোহামেডানের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১২৭ রান।
দুই ওপেনার পঞ্চাশ পেরিয়ে সাজঘরে ফেরার পরই ভেঙে পড়ে মোহামেডানের ব্যাটিং লাইনআপ। ইমরুল ৬৮ আর অংকন করেন ৭০ রান।
এরপর সৌম্য এক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন ব্যক্তিগত তিন রানে। শুভাগত হোম ফেরেন খালি হাতে। শেষ দিকে ভারতীয় ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদারের ৩৩ ও আরিফুল হকের ৩৭ রানের উপর ভর করে ২৩৫ রানের সংগ্রহ পায় মোহামেডান।