• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ সফর ১৪৪৬

সীতাকুণ্ড বহুদিন ধরেই একটি অনুমোদিত ‘কিলিং ফিল্ড’


হেলাল মহিউদ্দিন
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৯:১৭ এএম
সীতাকুণ্ড বহুদিন ধরেই একটি অনুমোদিত ‘কিলিং ফিল্ড’

অন্য একটি কারণে সীতাকুণ্ড বহুদিন ধরেই একটি অনুমোদিত ‘কিলিং ফিল্ড’। জাহাজ কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা কতোটা ভয়াবহ তা বাংলাদেশের খুব কম মানুষই জানে। শ্রমিকদের হাত-পা-চোখসহ নানা ধরণের অঙ্গহানি ও পঙ্গুত্ব একেবারেই নিয়মিত ঘটনা।

‘পিপলস ডিস্প্যাচ’ এর ২০২১ সালের প্রতিবেদন মতে ২০২০ সালে নথিভুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৬। তার আগের পনের বছরে মারা গেছে ২০০ জন। এই সংখ্যা কাগজ-কলমের। আসলে সংখ্যার এক সামান্য অংশ মাত্র। পঙ্গু হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের সংখ্যা কয়েক হাজার।

বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার শিল্প-বাণিজ্য পাতায় জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের জয়জয়কার দেখি। নাম হয়েছে ‘শিল্প’ (ইন্ডাস্ট্রি)। এটি শিল্প?

এর অর্থকড়ি ও অর্থকরী দিকটি দারুণ লোভনীয় বলেই ‘শিল্প’ খেতাব জুটল? কিন্তু কাঁচা কড়কড়ে মুনাফা তো ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিদের পকেটের জন্য। শ্রমিকের পাওনা তো মৃত্যু, পঙ্গুত্ব, প্রাণঘাতী রোগ-বালাই, স্বল্পায়ু! 

জাহাজ-ভাঙা শিল্পের তেল, রাসায়নিক ও অন্যান্য বিষাক্ত তরল ও কঠিন পদার্থের সমাবেশের কারণে পুরো সীতাকুণ্ড প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের জন্য এক ভয়ানক হুমকি হয়ে উঠেছে। পরোক্ষভাবে কতো হাজার জন যে পরিবেশগত রোগ-বালাইয়ে প্রতিবছর মরছে, তার হিসাব কি কেউ রাখে?

এবারের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি একটি ওয়েক-আপ অ্যালার্ম। বন্দর-সংশ্লিষ্ট আয়-উপার্জনের স্বাভাবিকতাকে যেহেতু মানতেই হবে, সীতাকুণ্ডকে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ঘোষণা করে বিশেষ আঞ্চলিক নিরাপত্তা-বেষ্টনীর অধীনে না আনা গেলে সামনে আরও বড় বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ বিভাগের আরো খবর

Link copied!