চলতি বছর ২৬ মার্চের মধ্য মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল আইডি কার্ড ও নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এই কথা বলে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সেই জায়গা যেখানে দাঁড়িয়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ এদেশ থেকে মিত্রবাহিনী সরিয়ে নেওয়া হবে। যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল সেখানে আপনি শিশু পার্ক করছেন কেন। জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, ইসলামের পরাজয়ের কোনো চিহ্ন রাখা হবে না। কিন্তু আল্লাহর মার দুনিয়ার বার। সেই সোহরাওয়ার্দীকেই এখন মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি করে গড়ে তোলা হচ্ছে।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের সন্তানদের জিজ্ঞেস করলে বলতে পারে না তার বাবা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছিল। সন্তানরা জানে না তাদের বাবার বীরত্বগাঁথা। আমি আমার সন্তানকে দোষ দেব না। দোষ আমার। আমি তাকে শেখাতে পারিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ওয়ার হিরো হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের যতটুকু পাওয়া উচিত তা তারা এখনো পাননি। যদিও আমরা কিছু পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করিনি। কিন্তু তারপরও রাষ্ট্রের যেহেতু সক্ষমতা আছে, তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্যটুকু দেওয়া উচিত।”
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, “স্বাধীনতার আজকে ৫০ বছর উদযাপন করছি। এ সময় আমাদের অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমাদের সশস্ত্র যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু চেতনার যুদ্ধ শেষ হয় নাই। যখন পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে তখন আমরা তাদের প্রতিহত করেছি, এটা আমাদের অর্জন।”
শাহজাহান খান আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না। সংসদ দখল করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল আমরা নাকি জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় যুদ্ধ করেছি।”