• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : দিহানের বিচার শুরু


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৩:১৮ পিএম
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : দিহানের বিচার শুরু
ফাইল ছবি

রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় তার বন্ধু ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। 

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফারহানা আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের পিপি বলেন, ‍“অভিযোগ গঠনের শুনানির আগে কারাগারে থাকা আসামি দিহানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শুনানিতে আসামি দিহান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আদালতের অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।”

এর আগে গত বছরের ৭ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে। 

কলাবাগান থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দিহানকে আটক করে। পরে এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে দিহানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দিহানের ‘পাশবিক নির্যাতনে’ কিশোরীর মৃত্যু হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কিশোরীর সঙ্গে দিহানের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। পরিচয়ের এক মাসের মাথায় গত বছরের ৬ জানুয়ারি দিহান মেসেঞ্জারে কিশোরীকে পরদিন তাঁদের বাসায় যেতে প্ররোচিত করেন।

এছাড়া ঘটনার দিন গৃহকর্মী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে ফোন দিয়ে কিশোরীকে বাসার বাইরে আসতে বলেন দিহান। কিশোরী তার বাসা থেকে বের হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের বাসায় নিয়ে যান দিহান।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিজের বাসায় এনে ধর্ষণ করে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন দিহান। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নৃশংস ধর্ষণ ও ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগী কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করে।

মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫০ জনের বেশি ব্যক্তির জবানবন্দি ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ।

Link copied!