খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই। অন্যান্য জাতের ধানকে এসব ধানের চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “মিনিকেট নামে ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে জিরাশাইল ও শম্পা কাটারিই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামেও কোনো ধান নেই। ব্র্যান্ড তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও মিনিকেটই খুঁজি।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, “বাজারে মিনিকেট বলে চাল বিক্রি হচ্ছে কিন্তু মিনিকেট ধান নেই। ২৯, ২৮ জাতের ধানকে মিনিকেট বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফল আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছি।”
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আরো বলেন, “আমরা চেষ্টা করব ব্রান্ডিং যে নামেই করা হোক, মূল ধানের নাম যেন লেখা হয়। যদি গরুর মাংস বিক্রি করা হয় তাহলে লিখতে হবে গরু। মহিষের মাংসকে গরু লিখে বিক্রি করতে পারবেন না। সেই কাজ আমরা করছি।”