আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, “পৃথিবীতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা মনুষ্য সম্প্রদায় ও রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, সেগুলো যথেষ্ট নয়। এখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যারা গ্রিন হাউজ গ্যাস বেশি ছড়ায়। তাদের আরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন।”
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং আইডিইবি আয়োজিত ‘কপ ২৬ : প্রাপ্তি ও ভবিষ্যত করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা কপ ২৬ মিটিংকে সফল না বললেও ব্যর্থ বলা যাবে না। তবে কপ মিটিংয়ের আগে আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু সব প্রত্যাশা পূরণ হয় না। এই মিটিংয়ের ভালো দিক হচ্ছে, সেখানে কয়েকটা বিষয়ে ঐক্যমত স্থাপিত হয়েছে। যেমন পৃথিবীর ১৪১টি দেশ বনায়ন বৃদ্ধি এবং কয়লা থেকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে ফেলার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা পৃথিবীতে মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়।”
মন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। কারণ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনভাবেই দায়ী নই। গ্রিন হাউজ গ্যাস ছড়ানো উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আমরা নগণ্য। বাংলাদেশের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের শক্তি উৎপাদনের ৪০ শতাংশ সবুজ প্রযুক্তিতে হবে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসে, বুঝতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্র এ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি খুবই দু:খজনক যে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। এটিও খুবই দু:খজনক যে, মুনাফালোভী গোষ্ঠী তেলের চাহিদা যাতে কমে না যায় সেজন্য সবুজ প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও তা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছে না।”
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন।
এছাড়া বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা মো. শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক করেন।
এদিকে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের পরিচালক হাফিজুল ইসলাম খান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, মো. ফারুক রহমান রুমি, এনসিসিবি ও বিসিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেনসহ প্রমুখ।