বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বর্তমান সার্চ কমিটির সুপারিশে আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে, তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এ ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। এজন্য ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।”
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে সার্চ কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে না।”
ফখরুল আরও বলেন, “এই সার্চ কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না বিএনপির। বিএনপি মনে করে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া যাদের সমন্বয়ে এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
মহাসচিব বলেন, “সয়াবিনসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি। তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও দলের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার জন্য জ্বালানি তেল ও নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদির দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। তেল, গ্যাস, পানি ও চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি মানুষের জন্য দুঃসহ ভোগান্তি তৈরি করছে। অবিলম্বে ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্যের দাম কমানো, বিশেষ করে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস মূল্যবৃদ্ধি বাতিল করে তাদের মূল্য স্থির করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সব অবৈধ কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীর কাছ থেকে আড়াল করতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। বিএনপি এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।”
একইসঙ্গে বিদেশে কর্মরত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের জনগণের স্বার্থে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কর্তব্য পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।