• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিমানবন্দরে নিহত হাদিসুরের দুই ভাইয়ের আহাজারি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২, ০৩:০২ পিএম
বিমানবন্দরে নিহত হাদিসুরের দুই ভাইয়ের আহাজারি
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের অলভিয়া সমুদ্রবন্দরে আটকা পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) মালিকানাধীন বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এর আগে জাহাজটি ২৯ জন নাবিকসহ ওই বন্দরে আটকা পড়ে।

এ সময় নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের ছোট ভাই প্রিন্স কান্নারত অবস্থায় বলেন, “আমার ভাই কোথায়? আমার ভাইকে কোথায় রাখছেন? আমার ভাই কীভাবে মারা গেছে, তা জানতে চাই আমি। আগে আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে মরতে পারে না।”

এছাড়া হাদিসুরের চাচাতো ভাই সোহাগ বলেন, “আমার ভাই মরেনি। থানার মধ্যে তার মতো ভালো কোনো মানুষ নেই। কয়েক দিন আগেই তারে এয়ারপোর্ট থেকে বিদায় দিয়েছি আমরা।”

অন্যদিকে প্রিন্স যেখানে কান্নাকাটি করছিলেন তার একটু সাম‌নে গেটের বাইরে নিহত না‌বিক হাদিসু‌রের বাবা-মাও কান্নাকাটি করছিলেন। হা‌দিসু‌রের বাবা একবার মে‌ঝে‌তে প‌ড়ে যান। তিনিও আহাজারি করতে থাকেন আমার ছে‌লে‌রে আইনা দাও ব‌লে।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। বাংলাদেশ সময় ২ মার্চ রাতে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে হামলার শিকার হয় জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। এতে জাহাজটিতে থাকা ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিকের একজন নিহত হন।

ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে আজ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দুপুরে তারা ঢাকা পৌঁছেছেন। নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরের পরিবার ভেবেছিল এই ২৮ জনের সঙ্গে হাদিসুরের মরদেহও আসবে। সে জন্য তারা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন।

তবে এখন পর্যন্ত জানা যাচ্ছে, রকেট হামলায় নিহত ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ নিরাপদ জায়গায় নিয়ে হিমাগারে রাখা হয়েছে এবং পরে সুবিধাজনক সময়ে মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

Link copied!