বিএনপিকে তওবা করে জনমুখী রাজনীতিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে বিএনপিকে সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (২১ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের প্রতি এ আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।
‘আওয়ামী লীগ সরকার গণবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, “তার এমন হাস্যকর বক্তব্য বছরের সেরা কৌতুকের মর্যাদা পেতে পারে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে যারা রাজনীতি করে এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে তাদের মুখে এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই মানায় না।”
দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী রাজনীতি, নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এবং দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য বিএনপি এরই মধ্যে গণবিরোধী হিসেবে জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির নিজের ঘরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা আবশ্যক। নিজেদের দলে অগণতান্ত্রিক চর্চা থাকলে বিএনপি কীভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, দেশবাসী তা জানতে চায়।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বিএনপি মুখে যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক প্রকৃতপক্ষে তারাই গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি এবং গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় প্রধান প্রতিবন্ধক।”
বিএনপি নির্বাচনভীতি রোগে আক্রান্ত উল্লেখ করে কাদের বলেন, “সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং মিথ্যাচার এ রোগের লক্ষণ। বিএনপির রোগ সারাতে আবারও বিদেশি চিকিৎসকের কাছে ধর্না দিতে শুরু করেছে, কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। নালিশের রাজনীতি প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নিজ দলের মেরুদণ্ডহীনতা আর সিদ্ধান্তহীনতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।”
এসব বাদ দিয়ে বিএনপিকে আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।