প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টে অডিটর পদসহ বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তর সরবরাহের অভিযোগে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নোমান সিদ্দিকী, মাহমুদুল হাসান আজাদ, আল আমিন রনি, নাহিদ হাসান, শহীদ উল্লাহ, তানজির আহমেদ, মাহবুবা নাসরীন রুপা, রাজু আহমেদ, হাসিবুল হাসান ও রাকিবুল হাসান। তাদের কাছ থেকে ইয়ার ডিভাইস ৬, মাস্টার কার্ড মোবাইল সিম হোল্ডার ৬, ব্যাংকের চেক ৫, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ৭, স্মার্ট ফোন ১০, বাটন মোবাইল ৬, প্রবেশপত্র ১৮টি ও অডিটর নিয়োগ পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র তিন সেট জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন বরখাস্তকৃত সরকারি কর্মকর্তা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান আজাদ হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (সিজিএ) অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা এবং মাহবুবা নাসরীন রুপা বগুড়ার ধ্রুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান।
একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাকরাইলের নিউ শাহিন হোটেল থেকে অসাধু উপায় অবলম্বনকারী দুজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাফরুল সেনপাড়া পর্বতা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ডিভাইস, প্রশ্নপত্র ও উত্তর পত্রের খসড়াসহ আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি পুলিশের আরও একটি দল বিজিপ্রেস উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে পরীক্ষার্থী এবং অন্যতম পরিকল্পনাকারী মাহবুবা নাসরীন রূপাকে টাকা, ডিজিটাল ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামিদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ে ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০ জন অডিটর পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ পর্যন্ত ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকে অভিযোগ তোলেন, এই পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।