অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দেড় বছরের যাত্রায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সম্প্রতি নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার জোর আলোচনা চলছে। এখানে আসছে নতুন মুখ। নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হচ্ছেন খলিলুর রহমান।
সম্প্রতি জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার পর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ব্যক্তিদের ধরতে না পারার ব্যর্থতার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি। সেই প্রেক্ষিতে তাকে সরিয়ে বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নতুন দায়িত্বে আনার জোর আলোচনা চলছে।
তবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন না। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকেও তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রথমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রশ্নে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই দায়িত্ব পান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তাকে নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক না থাকলেও সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়। তবে উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সেই অনুষ্ঠানটি ছিল কৃষি বিষয়ে। তিনি কৃষি উপদেষ্টা হিসেবে উত্তর দিয়েছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু বলবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এই ইস্যুতে ইনকিলাব মঞ্চসহ অনেকেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান। তার পদত্যাগ দাবিতে আলটিমেটামও দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা উপদেষ্টার পদটি বরাবরই খুবই স্পর্শকাতর। আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদের বেশির ভাগ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি কথা কম বলতেন এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত থাকতেন। তবে এরপরও নানা সময় তাকে নিয়েও হয়েছে বিতর্ক।






























