আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জনগণের পাশে থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু এখন অতীত ইস্যু এবং দেশের উচ্চ আদালতে এ বিষয়টি মীমাংসিত। এ নিয়ে মাঠ গরম করে কোনো প্রয়োজন নেই।”
তিনি নতুন বছরে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের পাশে থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) গণ্যমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নেত্রীই এক সময় বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই।”
‘বিএনপি অংশ নেয়নি তাই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপ অর্থহীন’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি ছাড়াও এদেশে আরও অনেক রাজনৈতিক দল আছে, এ কথা সম্ভবত তারা ভুলে গেছেন। বিএনপি অংশ না নিলে কোনো কিছুই থেমে থাকবে না, থেমে থাকবে না রাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা। তাদের কাজই হলো সরকার এবং দেশের কল্যাণকর যে কোনো প্রয়াস ও অর্জনকে বিতর্কিত করা।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সবকিছু নিয়ে বিতর্ক করতে গিয়ে আজ জনগণের কাছে তারাই বিতর্কিত। অপরিণামদর্শী রাজনীতির কারণে আজ তারা গভীর খাদের প্রান্তে। তাদের হাঁক-ডাক নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করা এবং নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখার ব্যর্থ প্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।”
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ফখরুল সাহেবের নির্বাচন দাবি অমূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নির্বাচনের দাবি করার প্রয়োজন নেই। সরকারের মেয়াদ শেষে দেশে যথাসময়ে সাংবিধানিক বিধি-বিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”