ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
নিহত ইলমা ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া।
ওসি বলেন, “নিহত ইলমার বাবা মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন (৩৬) এবং ইলমার শ্বশুর ও শাশুড়ি। এ মামলায় মঙ্গলবার আটক ইফতেখার আবেদীনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এছাড়া বাকি দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান ইলমা। এ সময় তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে ইলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এছাড়া ইলমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে তাকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
ইলমার মা সিমথি চৌধুরী বলেন, “আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
এর আগে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে গতকালই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় আটক করে বনানী থানা-পুলিশ।
এদিকে পুলিশ বলছে, “ইলমার মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে সুরতহাল শেষে মঙ্গলবার ভিকটিমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।”