করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন মহাপরিচালক (ডিজি) ও চার পরিচালকসহ মোট ৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপ-পরিচালক জানান, আক্রান্তদের মধ্যে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তার সংখ্যা ২২ জনের বেশি। বিভাগীয় কার্যালয়ের ছয়জন এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া আরও অনেক কর্মকর্তা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। আক্রান্তরা সবাই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নতুন আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- দুদকের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান, পরিচালক শিরিন পারভীন, জুলফিকার আলী, মো. মাহমুদ হাসান ও মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
উপ-পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন মো. ফারুক আহমেদ, এস এম সাহিদুর রহমান, মো. আলী আকবর, মো. হেলাল উদ্দিন শরীফ, শেখ গোলাম মাওলা, মোশারফ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোনায়েম খান, মো. জাহাঙ্গীর আলম (ব্যাংক শাখা), নার্গিস সুলতানা, মো. জাহিদ হোসেন, মো. ওয়াজেদ আলী গাজী, মো. ইকবাল হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান বায়োজিদ, মাহবুবুল আলম, আহসানুল কবির ও মাহাবুবুল আলম।
করোনা আক্রান্ত সহকারী পরিচালকরা হলেন সহকারী পরিচালক সাইদুজ্জামান, শারিকা ইসলাম, মো. আজিজুল হক, মো. শফিউল্ল্যাহ (জনসংযোগ), সিলভিয়া ফেরদৌস, মো. শাহজাহান মিরাজ, মো.আল আমিন, মো. কামরুজ্জামান ও মো. নুরুল ইসলাম।
এছাড়া উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মুঞ্জুর সোহাগ, মোসা. মাহমুদা আক্তার ও সৈয়দ সোহেল, কোর্ট পরিদর্শক মো. আমির হোসেন ও চয়ন কুমার সাহা, কোর্ট সহকারী মো. অলীউজ্জামান শেখ, প্রধান সহকারী মো. আবুল ফয়েজ ও মো. নুর নবী চৌধুরী, মহাপরিচালকের (প্রতিরোধ) ব্যক্তিগত সহকারী রুপল সাহা, মহাপরিচালকের (আইসিটি) ব্যক্তিগত সহকারী ফাতেমা বিনতে খলিল, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কামারুজ্জামান সরকার এবং নিরাপত্তারক্ষী মো. আকবর হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, “কাজ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারপরও আমাদের কর্মকাণ্ড চলমান। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কমিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলমান থাকবে।”
এর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দুদকের মোট দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এক পরিচালকসহ তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে অধিকাংশই বড় জটিলতা ছাড়াই সুস্থ হয়েছেন।