নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি গঠনে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে দলটি।
রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের জানান দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী।
দলটির মুখপাত্র জানান, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে সার্চ কমিটির জন্য তিনটি নাম প্রস্তাব করেছেন। যারা সার্চ করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। তারা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
তারা অবশ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।
মাহি বি. চৌধুরী বলেন, “রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছি ইসি গঠনে একটি স্থায়ী আইন থাকা জরুরি। রাষ্ট্রপতিও বিশ্বাস করেন একটি স্থায়ী আইন থাকলে ইসি গঠনে ঝামেলা হয় না। এই মুহূর্তে আইন প্রণয়নে যা যা পদক্ষেপ গ্রহণ করার দরকার, তা করা যেতে পারে। তারপরও সময় স্বল্পতার কারণে আইন প্রণয়নে সব দলের মতামত না নেওয়ায় সেই আইনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই আমরা বিকল্প হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া প্রস্তাবনায় বিকল্পধারার পক্ষে থেকে ৩টি প্রস্তাবনা দিয়েছি।
প্রস্তাবনাগুলো হলো- এক. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনের জন্য একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও একজন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবে। দুই. প্রস্তাবিত নাম থেকে সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য নাম (প্রয়োজনীয় সংখ্যক) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। তিন. সার্চ কমিটি গঠনের জন্য বিকল্পধারা দেশের তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক নাম সুপারিশ করছে। অবশ্যই আমরা এটাও বিশ্বাস করি সার্চ কমিটির জন্য যাদের নাম প্রস্তাব করেছি, তারা নির্বাচন কমিশন হিসেবেও তারা জাতির কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবেন।
আইন প্রণয়নের প্রস্তাবের সঙ্গে সার্চ কমিটির নামের প্রস্তাব দ্বন্দ্ব নয় কি এই বিষয়ে জানতে চাইলে মাহি বলেন, “না। আমরা আইন প্রণয়নের বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে সার্চ কমিটির নামের প্রস্তাব করেছি। এখন তাড়াহুড়ো করে আইন গঠন করতে গেলে বরং পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে আবার বির্তক শুরু হতে পারে। সেজন্য এই মুহূর্তে আইন প্রণয়নে কতটুকু সম্ভাবনা রয়েছে, সেটা একটা বিষয়। এই রকম একটি প্রণয়ন করতে গেলে সব দলের সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। বিকল্প হিসেবে সার্চ কমিটির প্রস্তাব করেছি, যেহেতু নির্বাচন কমিশনের মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে, যাতে সাংবিধানিক শূন্য সৃষ্টি না হয়। একইভাবে আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি একটি স্থায়ী আইন প্রণয়ন করা জরুরি। যাতে পরবর্তীতে স্থায়ী আইনের মধ্যে ইসি গঠন করতে পারে।”
এ সময় সংলাপে আরও অংশ নেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, সাহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব এনায়েত কবির।