এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ী দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে সম্প্রতি এ নির্দেশ দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশে বলা হয়, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪৭ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। ৭২ জন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। এ দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি তদন্ত করে দুর্ঘটনার জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক ও প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রশিদ এবং পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, মাহবুবুর ও হাবিবুরের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, বিভাগীয় মামলা চলাকালে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা যেন অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সেজন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আগুনের ঘটনায় লঞ্চটির চার মালিক, মাস্টার ও চালকদের দায়ী করে গত ৩ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা’ থাকার কথাও সেখানে আসে। ওই ঘটনার পর চার সার্ভেয়ারের কর্মস্থল বদলে দেওয়া হয়। যদিও সেটাতে ‘স্বাভাবিক বদলি’ বলেছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মনজুরুল কবির।