• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

লেখক সুফিয়া খাতুন আর নেই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০২:৪১ পিএম
লেখক সুফিয়া খাতুন আর নেই

লেখক, শিক্ষক ও সমাজসেবক সুফিয়া খাতুন আর নেই। তার বয়স ১০০ পেরিয়েছিল। শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর পৌনে চারটার দিকে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে বেলা দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতে সুফিয়া খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বনানী কবরস্থানে স্বামী এ কে এম ওয়াঝিহ উল্লাহ্‌র কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। তিনি চার ছেলে, এক মেয়ে, নাতি–নাতনি, অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে ’ গ্রন্থের রচয়িতা সুফিয়া খাতুন। তিনি ছিলেন সফল স্কুলশিক্ষক। ১৯৫০–এর দশক থেকে শুরু করে ২৩ বছর তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট মডার্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন।

সমাজসেবাধর্মী নানা কর্মকাণ্ডেও নিয়োজিত ছিলেন সুফিয়া খাতুন। গড়ে তুলেছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারী সঙ্গিনীদের নিয়ে ‘উষা মৈত্রী’ সংগঠন। যুক্ত ছিলেন ‘হেমন্তিকা’ নামের সংগঠনের জন্মপ্রক্রিয়া থেকে। সমমনা আগ্রহী নারীদের সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধাবাস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে ‘হেমন্তিকা’। দুটি সংগঠনের নামই তার দেওয়া।

সুফিয়া খাতুনের জন্ম ময়মনসিংহে, খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্রের তীরে। তাই আত্মজীবনী ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে’ বইতে নদীর মতো প্রবহমান জীবনের গল্প তুলে ধরেছেন তিনি। বইটির সময়কাল ১৯৩০ থেকে ২০০৩ সাল। এই বইতে এক সাধারণ নারীর অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প রচিত হয়েছে।

দেশ-বিদেশের নানা স্থানে জীবন কেটেছে তার। শৈশব ও কৈশোরে বাবার কাছে, বিয়ের পর সরকারি কর্মকর্তা স্বামীর চাকরিসূত্রে এবং পরবর্তী জীবনে ছেলেমেয়েদের জন্য তিনি হেঁটেছেন পৃথিবীর পথে পথে।

মুসলিম সমাজে নবজাগরণ, সমাজে হিন্দু-মুসলমান সহাবস্থান ও পরবর্তী সময়ে দাঙ্গা, কলেরা মহামারি, দুর্ভিক্ষ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক শাসন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা—প্রায় সব ঘটনারই সাক্ষী সুফিয়া খাতুন।

Link copied!