আওয়ামী লীগ সমাবেশ করতে সরকারি ট্রেনে যায়, আর বিএনপির সমাবেশে মানুষকে নদী সাঁতরে আসতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেছেন, “আপনারা সমাবেশ এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে সরকারি ট্রেন-বাস রিজার্ভ করে নিয়ে গেছেন। আর আমাদের তিন দিন আগে নদী সাঁতরে খোলা মাঠে থাকতে হয়।”
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক মঞ্চ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ব্যবহার করে ভোট চাওয়ায় এক রাজনীতিবিদ তার নামে মামলা করেছিলেন। যার জন্য ইন্দ্রিরা গান্ধীর জেল হয়েছিল এবং তার প্রধানমন্ত্রীত্বও চলে গিয়েছিল। আর আজকে আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত অফিস ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হচ্ছে।”
দেশের গণতন্ত্র এবং আওয়ামী লীগের বাঁচার একটি মাত্র রাস্তা খোলা আছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “আপনি বাঘের পিঠে সওয়ার হয়ে আছেন, ক্ষমতা হচ্ছে বাঘ। বাঘের পিঠ থেকে নামতে হলে রাস্তা খুঁজতে হয়। আর সেই রাস্তা হচ্ছে বিরোধী দলের সঙ্গে আপস করা।”
রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগের বাইরে আছেন জানিয়ে বরকত উল্লাহ বলেন, “আজকে যারা আওয়ামী লীগের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন তারা কেউ রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেননি। রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
বরকত উল্লাহ বুলু আরও বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন পাঠ্যপুস্তকের ভুল নাকি ১০ বছর আগের। তাহলে বলতে হয় ১০ বছর আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর আপনি (দীপু মনি) ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাহলে এই ভুল পাঠ্যপুস্তকে এলো কীভাবে? সরকার পাঠ্যপুস্তকের ভুল নিয়ে মানুষকে রামায়ণ বোঝাচ্ছে।”