• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে ঢেলে সাজানো হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
‘ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে ঢেলে সাজানো হবে’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : সংগৃহীত

ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেছেন, “সরকার ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও শিক্ষাখাতকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই খাতে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে চূড়ান্ত হয়েছে ইউনানি-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শিক্ষা আইনের খসড়া। এ চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে একটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এই ল্যাবের মাধ্যমে চিরায়ত ওষুধের গুণগত মান বজায় রেখে ওষুধ প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।”

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে হামদর্দ কনফারেন্স রুমে বিশ্ব ইউনানি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্‌ফ) বাংলাদেশ এবং হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, “আমাদের দেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে চিরায়ত মেডিসিন। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চিরায়ত মেডিসিনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ জুলাই এক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বোর্ড অব ইউনানি অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক সিস্টেম অব মেডিসিন স্থাপন করার জন্য ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করেন।”

ধর্মমন্ত্রী বলেন, “এ দেশে চিরায়ত চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক রচিত হয় ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সে বছর সর্বপ্রথম ৩৩ জন ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিও চিকিৎসককে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে নিয়োগ দিয়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়।”

ফরিদুল হক খান বলেন, “বর্তমানে সারা দেশে ২০০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫৮টি জেলা হাসপাতাল ও ১২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিরায়ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভেষজ ম্যানুয়াল, ফার্মাকোপিয়া এবং ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন তৈরি ও সরবরাহ করা হয়েছে।”

চিরায়ত মেডিসিনে ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, “মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, ব্যাপক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা, অত্যাধুনিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন শিল্প এবং বিপুলসংখ্যক লোক তাদের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে এটি ব্যবহারের কারণে ইউনানি মেডিসিন সিস্টেমে ভারত বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে।”

Link copied!