• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

জাপায় বিদ্রোহ, কাদের-চুন্নুর পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
জাপায় বিদ্রোহ,  কাদের-চুন্নুর পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম
বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের ও দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা। তাদের অপসারণ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বনানী জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থীরা বিক্ষোভ করেন। তাদের বিক্ষোভে যোগ দেন দলের কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা ও সাইদুর রহমান টেপা। 
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতারা বনানী কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে কার্যালয়ের সামনে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

দলের কো-চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টেপা বলেন, “পার্টি অফিসে নেতাকর্মীরা সব সময়ই আসবেন। আমরা দলীয় বিষয়ে কথা বলব, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে পুলিশ গেট বন্ধ করে রেখেছে।”

জাপার নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে যেতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান হক বলেন, “তারা তাদের পার্টি অফিসে ঢুকবে এতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। তবে, শৃঙ্খলা রেখে তারা ঢুকবেন এটাই প্রত্যাশা। আমরা শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এখানে অবস্থান করছি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বা মহাসচিবের পক্ষ থেকে পুলিশকে নিরাপত্তার বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়নি।”

কো-চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলা বলেন, “নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অনেক জায়গা থেকে টাকা পেয়েছে শুনেছি। সেটা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও চুন্নু সাহেব মেরে দিয়েছেন। আমরা এটা নিয়ে দলীয়ভাবে তদন্ত করব। তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ক্ষোভ প্রকাশ করে সাইদুর রহমান টেপা বলেন, “আপনারা দেখেছেন এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। দলের যিনি চেয়ারম্যান তার সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন প্রশ্নে মতানৈক্য সৃষ্টি হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত ৪ বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিত এবং অদক্ষতার কারণে পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।”

সাইদুর রহমান টেপা দাবি করে বলেন, “পাটির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা করা এবং তাদের এক প্রকার পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। সরকারের কাছে ধরনা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা করে সেখানেও ভরাডুবি হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম জাতীয় পার্টিকে এতটা বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির কারণে চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদত্যাগ করে তাদের সম্মান রক্ষা করবেন। কিন্তু সে বোধোদয়ও তাদের হয়নি।”

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া সময় যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান টেপা।

টেপা বলেন, “জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এই মুহূর্তে পার্টিকে সুসংগঠিত করে একটি জাতীয় সম্মেলন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।”

Link copied!