বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে, তা মানবিকতার দৃষ্টান্তে পৃথিবীতে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়ার বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত আইন সম্মতভাবেই হবে।”
রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আগামী ৪ অক্টোবর দুপুরে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাস্তা বন্ধ করে কিংবা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন না।”
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন কর্মসূচির বিষয় তুলে ধরে কাদের বলেন, “আগামী ৩ অক্টোবর সাভারের আমিন বাজারে মহাসমাবেশ করা হবে। ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলসেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেল, ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারীদের প্রতি আওয়ামী লীগের উচিত ছিল তেমন ব্যবহার দেওয়া।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন মেনে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে। আওয়ামী লীগ শূন্যে ভেসে হাওয়ায় উড়ে কিংবা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় বসেনি। অপরদিকে, আল্টিমেটামেও ব্যর্থ বিএনপি। গত ১৫ বছরে অনেকবার বিএনপির হাঁকডাক শোনা হয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসন নিয়ে তিরস্কার করে সমালোচনা করেছিল। যা ছিল বিএনপির অহংকার দম্ভ। যারা আওয়ামী লীগের পতন দেখছেন, তাদের নিজেদের পতন হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।”
এ সময় রাজনীতিবিদদের বেফাঁস কথা বলা থেকে দূরে থাকা উচিত ও বেফাঁস কথা না বলার পরামর্শও দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড কিংবা পোস্টার ফেস্টুন করে প্রচারণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।