• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাংলাদেশের চমক লাগানো অবকাঠামো উন্নয়নের গল্প


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৮:২৯ এএম
বাংলাদেশের চমক লাগানো অবকাঠামো উন্নয়নের গল্প
ছবি : বাসস।

বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে উদ্দীপক অবকাঠামো ও ইন্টিলিজেন্স ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের (আইটিএস) বাজারে পরিণত হচ্ছে। কারণ, দেশটি এখন আইটিএস এবং ওয়ে ইন মোশন-ডব্লিউআইএমের দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পর্যবেক্ষণ শৈলী কাজে লাগিয়ে পরিবহন খাতে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে।

গত বছর সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে দেশের প্রথম আইটিএস প্রকল্প নেওয়া হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে দেড় কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২৫২ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মিত হবে। রিয়াদ হোসেন ও রিজওয়ান মুস্তাফিজ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশি কোম্পানি এনডিই ইফ্রাটেক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বিশ্বের ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম শিল্প খাতের যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া প্লাটফরম আইটিএস ইন্টারন্যাশনাল ১৬ আগস্ট বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইন্টিলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের ওপর ‘বাংলাদেশ সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে উদ্দীপক অবকাঠামো ও আইটিএস বাজার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কন্ট্রিবিউটিং এডিটর জেমস ফস্টার লিখেছেন, “বাংলাদেশের গল্পটি আইটিএস মেগা-প্রকল্প ও উদ্যোক্তাগত বিচক্ষণতার এক চমকপ্রদ ঘটনা থেকে কম কিছু নয়।”

জেমস ফস্টার লিখেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম রাষ্ট্র। এটি দারিদ্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং এমনকি ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষেরও সম্মুখীন হয়েছিল। এরপর স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরেই ২০২১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি তার দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এর চেয়ে বিস্ময়কর আর কিছুই হতে হতে পারে না। দেশটি গত এক দশক ধরে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কোভিড মহামারি সত্ত্বেও এর অর্থনীতি বার্ষিক ৬ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা সেই সময়ে সব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। অর্থনীতিতে এই প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সরকারি খাতে ব্যাপক ব্যয় এসেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।

সরকার সম্প্রতি ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। যা স্বল্পোন্নত দক্ষিণ-পশ্চিমকে দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এটি একটি নির্মাণ বিস্ময়, কারণ এটি বিশ্বের গভীরতম সেতু, যেখানে ১২৭ মিটার গভীরে পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার অর্থায়নে ঢাকা মেট্রো রেলের প্রথম পর্যায় সবেমাত্র জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এই গণট্রানজিট সিস্টেমটি প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজারেরও বেশি যাত্রীদের সেবা দেবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যা শিগগিরই একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলের অধীনে চালু হচ্ছে। এটি দেশের দীর্ঘতম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যা রাজধানী ঢাকার মধ্য দিয়ে ৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘপথ পাড়ি দেবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক, জাইকা, কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের মতো এজেন্সিগুলোও বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা এবং জাতীয় মহাসড়কের প্রবিধানের উন্নয়নের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।

সূত্র : বাসস

Link copied!