বিভিন্ন অস্থিরতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশে গত ১৩-১৪ বছরে যত অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে করা হয়েছে। মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থাকে দুর্বল করা হয়েছে।”
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তথ্য কমিশন ভবনে আয়োজিত ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ছেলেধরা গুজবে সাধারণ মানুষকে পিটিয়ে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন আট কোটির বেশি মানুষ। এসব ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকে বুঝে না বুঝে ভুল ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজকে অস্থির করে তোলে। নানা সুবিধাকে ব্যবহার করে তারা রাষ্ট্র এবং সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা তথ্য পাওয়ার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করেন, সচিবালয়ে দেখা যায়, ক্লার্কের (পিয়ন) সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করা হয়। যে ফাইল এদিক থেকে ওদিকে নিয়ে যায়, তার সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করা হয়। এটি তৈরি করে ফটো তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে তথ্য নেওয়া অপরাধ। তথ্য অধিকার আইন আছে, যে কেউ তথ্য চাইতে পারে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “তথ্য অধিকার আইনে অনেকের শাস্তিও হয়েছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আমাদের ইশতেহারে দুটি বিষয় উল্লেখ করেছিলাম, একটি তথ্য অধিকার আইন ও আরেকটি হলো জনগণের সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। আমরা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। ইশতেহার প্রণয়নের সময় দল ও দলের বাইরে অনেকেই এই দুই বিষয় নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।”
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “১৭ কোটি মানুষের দেশ ১৮ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্য অধিকারে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯১৮টি দরখাস্ত জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৯৬ শতাংশ দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে।”
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।